কলকাতা: ৭৫ দিনে পৌঁছল এসএসসি-র গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি আন্দোলন (Job Seeker Agitation)। মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নীচে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না। প্যারোডির মাধ্যমে দুর্নীতির (SSC Scam) প্রতিবাদে চাকরিপ্রার্থীরা। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোও কেটেছে SSC চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় বসে। মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্নায় রয়েছেন SSC চাকরিপ্রার্থীরা । উৎসবের মরশুমেও ওঁদের জীবনে শুধুই অন্ধকার। পরিবার-পরিজন ছেড়ে পথের ধারেই কাটছে দিন। তবুও হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলনে অনড় SSC চাকরিপ্রার্থীরা।


প্রসঙ্গত,  এবার পুজোয় রাজ্যবাসীর মনে কাঁটার মতো বিঁধেছে চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় বসে আন্দোলন। এই সমস্যার সমাধান না হলে মানুষের মনে শান্তি আসবে না। সম্প্রতি এই মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।  ভরা পুজোর মাঝে যখন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড়, রাস্তাঘাটে আলোর রোশনাই, তখন ভিন্ন দৃশ্য শহরের একপ্রান্তে। উৎসবের চিহ্নটুকুও নেই, আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের মনে। কারোর চোখে জল, কারোর আবার কথা বলতে গিয়ে গলা বুজে আসছে। ঝাপসা হচ্ছে চোখ, পরিবারের কথা বলতে গিয়ে ধরে রাখতে পারছেন না চোখের জল। বঞ্চনার অভিযোগে উৎসবের দিনেও রাস্তায় অবস্থান করছেন তাঁরা। ঘর-বাড়ি ভুলে নিয়োগের দাবিতে সরব তাঁরা।দুর্গাপুজো কেটেছে রাস্তায় বসে। কালী পুজোয় গোটা শহর আলোর উত্‍সবে মাতলেও, অন্ধকারেই রইলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ভাইফোঁটা নিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এদিন  SLST-র একজন চাকরিপ্রার্থী।   মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সামনে  চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান ৫৯২ দিনে পড়ল। ভাইফোঁটার দিনেও সেই অন্ধকারেই চাকরিপ্রার্থীরা। 


আরও পড়ুন, 'একটু চোখের জল ফেলুন, মোদিজী', গুজরাতে সেতু বিপর্যয়ের পর ট্যুইট সুখেন্দুশেখরের


নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের এই অবস্থান আন্দোলনের জল গড়িয়েছে রাজনীতির আঙিনাতেও।  SSC-কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী। চাকরিপ্রার্থীরা একের পর এক বৈঠক করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের নিয়োগের দাবির সুরাহা হয়নি।  আলোর উত্‍সবের শহরে পরিবার ছেড়ে ম্লান মুখে রাজপথের এককোণে বসে রয়েছেন তাঁরা।   ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে এদিন ধর্নামঞ্চে এসে আন্দোলকারীদের মিষ্টি খাওয়ালেন  বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা বিজেপির (BJP)। শাসকদলের (TMC) প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।সম্প্রতি, প্রাথমিকে চাকরির টোপ দিয়ে ৬ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। টাকা দিয়েও প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি না পাওয়ায় আত্মহত্যার অভিযোগ পরিবারের। আব্দুর রহমানের মৃত্যুতে বিচার চেয়ে লালগোলার রাস্তায় নামে ডিওয়াইএফআই-এসএফআই।  ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একাধিক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।