কলকাতা: রাজ্যের একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে দলে দলে ঘাসফুল নেতা, বিধায়ক কর্মীদের পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়ার দৃশ্য প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু তৃণমূলের বিপুল ভোটে জয়ের পর, উলটপূরাণ দেখা যায় বঙ্গে। একাধিক বিধায়ক-সহ নেতা-কর্মীদের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসতে দেখা যায়। কিন্তু সে তো গেল একুশের প্রেক্ষাপট। বাইশে পা দিয়েই, একুশের বয়ে আনা একাধিক দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হন এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল। ইতিমধ্যেই একাধিক দুর্নীতির মামলায় নাম জড়িয়েছে একাধিক শাসকদলের নেতা-কর্মীদের। এহেন মুহূর্তেই মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বলেন,  'ফের তৃণমূল ছেড়ে দলে দলে নেতারা পদ্মমুখী হচ্ছেন। তৃণমূলের ২১ জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন।' আর এই ইস্যুতেই এবার বিস্ফোরক তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। 

  কুণাল ঘোষ বলেন, 'হাস্যকর অরাজনৈতিক বক্তব্য, নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা, কে কত বলবেন। ভোটের আগের যোগদানগুলি মনে আছে, যারা চার্টাড প্লেন ধরে  গিয়েছিলেন, তাঁরা এখন অটো ধরে ফিরে আসছেন। আর এই ধরনের কথাগুলি সম্পূর্ণ হাস্যকর, একদিকে সুকান্ত বিজেপি, আরেকদিকে দিলীপ বিজেপি। রাজ্য বিজেপির প্রতি কেন্দ্রের আস্থা নেই বলে, অতিথি শিল্পীকে এখানে নাটক করতে পাঠানো হয়েছে। মিঠুনদা কি অমিতাভ বচ্চনের দিওয়ার টা দেখেননি ?  দিওয়ার দেখে নিন। সেখানে অমিতাভ বচ্চন বলছেন, আমাদের কাছে গাড়ি আছে, বাড়ি আছে, তোমার কাছে কী আছে ? তো শশী কাপুর বলছেন, আমাদের কাছে মা আছেন। বাংলার সমস্ত মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নের্তৃত্বে তৃণমূলের পাশে আছেন।'  

আরও পড়ুন, ' মুখ্যমন্ত্রীও জেলে থাকতে পারেন', দুর্নীতি ইস্যুতে বিস্ফোরক সুকান্ত

প্রসঙ্গত এবারও জোড়াফুল শিবিরের নেতাদের পদ্মশিবিরে স্বাগত জানানো হবে কিনা, জিজ্ঞেস করা হয় মিঠুন-সুকান্তদের। জবাবে মিঠুন বলেন,' আমি বলি, অনেকে আছেন, যাঁরা সবাই সমান নয়। তাঁরা দমবন্ধ বোধ করছেন তৃণমূলে। কেন না চুরি না করেও আঁচ পড়ছে তাঁদের গায়ে। আমি নিশ্চিন্ত করেছি যে, যাঁদের নাম দিয়েছি, তাঁরা কেউ এর মধ্যে নেই। উপরের নেতারা এর পর ঠিক করবেন।'তৃণমূল ছাড়তে ইচ্ছুক নেতাদের নামের তালিকা ইতিমধ্য়েই বিজেপি নেতৃত্বকে ধরিয়েছেন কি না জানতে চাওয়া হলে, মিঠুন বলেন, 'কিছু স্পষ্ট করে বলব না। সব ধরে ফেলবে। কিন্তু প্রোটোকল ছাড়া কাজ করি না আমি। যতটুকু বলার ছিল, বলে দিয়েছি। সব বলেই কাজ করি আমি।'এরপরই সুকান্ত বলেন, 'মিঠুনদার কাছে যদি ২১ জনের নাম থাকে, আমাদের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ৪১ জনের কম নাম থাকবে না। এমন অনেকে আছেন, যাঁরা সরাসরি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ক্রমশ প্রকাশ্য।'