সন্দীপ সরকার, ঝিলম করঞ্জাই, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: রাজ্যে পরপর সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভয়াবহ ঘটনা। কলকাতার SSKM মেডিক্য়াল কলেজে নাবালিকা রোগীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। উলুবেড়িয়ায় মহিলা চিকিৎসককে মারধর ও 'ধর্ষণের' হুমকি আবার বীরভূমে স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই রক্তাক্ত হয়েছেন নার্স। পরপর ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
SSKM-এ 'যৌন নিগ্রহ', উলুবেড়িয়ায় চিকিৎসককে 'ধর্ষণ' হুমকি, বীরভূমে আক্রান্ত নার্স। খাস কলকাতার বুকে SSKM মেডিক্য়াল কলেজ থেকে হাওড়ার উলুবেড়িয়া, বীরভূমের মহম্মদবাজার, একের পর এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভয়ঙ্কর ঘটনা! ভয়াবহ অভিযোগ! কোথাও ধৃত বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী, কোথাও পুলিশের জালে ট্রাফিক হোমগার্ড। অর্থাৎ যাদের দায়িত্ব নিরাপত্তা দেওয়ার! তাঁদের বিরুদ্ধে সম্ভ্রমহানির অভিযোগ! এক বছর কাটতে না কাটতেই ফের ফিরে এল আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের ঘটনার আতঙ্ক-উদ্বেগ! সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম চিকিৎসক ও সেক্রেটারি। সজল বিশ্বাস বলেন, সার্বিকভাবে ভয়ঙ্কর একটা পরিস্থিতি তৈরি করছে। সবাই কিন্তু আজ আতঙ্কের মধ্য়ে রয়েছে।+ প্রশাসন আজ চূড়ান্ত ব্য়র্থ। প্রশাসন কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না। রাজ্য়ের প্রথিতযশা মেডিক্য়াল কলেজ SSKM-এ ইউনিফর্ম পড়ে চিকিৎসকদের শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠছে! বীরভূমে স্বাস্থ্য়কেন্দ্রে মেরে নার্সের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে! উলুবেড়িয়ায় চিকিৎসককে ধর্ষণের হুমকি! প্রতিটি ঘটনা স্বাস্থ্য়কেন্দ্রের মধ্য়ে এবং অভিযুক্তরা বহিরাগত! অভিযোগকারী জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, আমি বলতে পারছি না, বিভিন্ন জায়গায় কথা বলে "রড ঢুকিয়ে দেব" এসব বলেছে। আক্রান্ত নার্সের সহকর্মী আজিজুন্নেসা বেগম বলেন, ওর টার্গেট আলাদা ছিল। যে রেপ করে মার্ডার করা। তাহলে আর জি কর কাণ্ডের পর পাল্টাল কী?কোথায় নিরাপত্তা? প্রশ্ন তুলে মুখ্য়মন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য়মন্ত্রীকে বিঁধছেন বিরোধীরাও! প্রদেশ কংগ্রেস প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, গৃহে নিরাপত্তা নাই, রাস্তায় নিরাপত্তা নাই, হাসপাতালে নিরাপত্তা নাই। বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, এর থেকে বোঝা যায় গোটা আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, শাসন একদম ভেঙে পড়েছে, টুকরো হয়ে গেছে। কিছছু নেই আমার মনে হয়, উনি (মুখ্য়মন্ত্রী) এসব নিয়ে কিছু করতে পারবেন না। ওঁর হাতের বাইরে চলে গেছে। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।একের পর এক ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম।