কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) 'কালীঘাটের কাকু' নিয়ে গ্রেফতারির পর বিস্ফোরক তাপস মণ্ডল (Tapas Mandal)। কার কাছে টাকা পাঠাতেন ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)? মুখ খুললেন এবার মানিক ঘনিষ্ঠ। 'কালীঘাটের কাকু' হলেন সুজয় ভদ্র', দাবি ধৃত তাপস মণ্ডলের। নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের নতুন নাম উঠে আসতেই ফের হবু হাজতবাসের তালিকায় কারা থাকতে চলেছেন ? ভবিষ্যতবাণী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।


 নাম না করেই সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেছেন, 'আরও অনেক কাকু-কাকিমা, ভাইপো-পিসির নাম আসবে। অপেক্ষা করুন, কাকুর সঙ্গে কাকুর ভাইপোর নামও আসবে।' উল্লেখ্য, এর আগে গোপাল দলপতির মুখেও শোনা গিয়েছিল 'কালীঘাটের কাকু'র প্রসঙ্গ। কে এই সুজয় ভদ্র? নিয়োগ দুর্নীতিতে কী ভূমিকা তাঁর ? উত্তরের খোঁজে সিবিআই। সূত্র মারফত খবরে জানা গিয়েছে, সিবিআই স্ক্যানারে রয়েছেন বিভাস অধিকারী নামের এক ব্যক্তি। কে বিভাস অধিকারী?  বিভাস অধিকারী তাপস মণ্ডলের মতোই একজন, দাবি কুন্তলের।    


পাশাপাশি, বালিগঞ্জে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল-যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট করে লিখেছিলেন, 'কালীঘাটের কাকু, পিসি, ভাইপো, কাকিমা, বউমা, শ্যালিকা - সবাই একই ধাঁধার অংশ। পৃথকভাবে কেউ দোষী নন, অথচ সবাই একসূত্রে গাঁথা। কয়লা যতই ধোয়া হোক, তা কালোই থাকবে। ঠিক তোমাদের ভবিষ্যতের মতো।' প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা হোক, কিংবা অন্য মামলায়, বিরোধীদের মধ্যে বিশেষ করে বিজেপি শীর্ষ নেতাদের বারংবার নাম না করেই 'পিসি ভাইপো' বলে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে। 


আরও পড়ুন, ' ১১ বছরে টাকা ভ্যানিশ', DA ইস্যুতে মমতার পাল্টা সুজন


অপরদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে চন্দন মণ্ডলকে জেরা করে উঠে এসেছে একাধিক নতুন তথ্য। সিবিআই সূত্রে খবর, জেরায় ১৬ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ। অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি বিক্রি করে সেই টাকা তুলেছিলেন চন্দন। এফআইআর-এ নাম থাকা চন্দন প্রথম থেকেই ছিলেন আতস কাঁচের তলায়। সেই সময়েই চন্দনের লেনদেন খতিয়ে দেখে ৬ কোটির হদিশ পান তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, হেফাজতে পেয়ে চন্দনকে জেরা করে এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও ১০ কোটির হদিশ মিলেছে। চাকরি বিক্রি শুধু নয়, চাকরি পেয়েছেন চন্দনের মেয়ে ও ভাইঝি। চন্দন চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন নিকট আত্মীয়দের।