সন্দীপ সরকার, কলকাতা: এক জীবনে কতজনের উপকার করতে পেরেছেন, করগুণে বলতে গেলে হোঁচট খাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু নিজের মৃত্যু দিয়ে নয় নয় করে ছয় জনকে নতুন জীবন দিয়ে গেলেন সোনাখালির তরুণ (Organ Donation)। মরণোত্তর অঙ্গদান করে শরীরে একাধিক অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য দিয়ে গেলেন তিনি (Kolkata News)। শহরে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক অঙ্গদানের নজিরও গড়ে গেলেন।


পথদুর্ঘটনায় আহত যুবক 'ব্রেন ডেথ', মরণোত্তর অঙ্গদান করে গেলেন


মৃত তরুণের নাম নীলশেখর মণ্ডল। বয়স মাত্র ২৩ বছর। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur News) সোনাখালি রাধাকান্তপুরের বাসিন্দা তিনি। সম্প্রতি পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন (Road Accident)। তার পর ২ এপ্রিল থেকে অ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। শেষ মেশ সব লড়াই ব্যর্থ হয়ে যায় ওই তরুণের। শুক্রবার তাঁকে 'ব্রেন ডেথ' বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা (Organ Replacement)।


কিন্তু নিজে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও, একাধিক মানুষকে নতুন জীবন দান করে গেলেন নীলশেখর। মরণোত্তর অঙ্গদান করেছেন নীলশেখর। তবে একটি বা দু'টি নয়, তাঁর শরীরে একাধিক অঙ্গ অন্যকে আলোয় ফিরতে সাহায্য করছে। কারণ যকৃৎ, বৃক্ক, হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, চোখ, ত্বক এমনকি ক্ষুদ্রান্তও দান করে গিয়েছেন নীলাদ্রি। অন্য় রোগীর শরীরে তা প্রতিস্থাপন হতে চলেছে।


আরও পড়ুন: Saktigarh Shootout: দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল রাজুর, মুখ খুলতে পারেন ভেবেই কি গুলি? কয়লা মাফিয়া খুনে হাজারো প্রশ্ন


এই প্রথম কলকাতায় একজনের থেকে একসঙ্গে এতগুলি অঙ্গ সংগ্রহের ঘটনা ঘটল। নীলশেখরের হৃদযন্ত্রটি মেডিকা হাসপাতালের ৪৭ বছর বয়সি এক রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপিত করা হচ্ছে। যকৃৎ প্রতিস্থাপিত হচ্ছে অ্যাপলো হাসপাতালে ভর্তি ৪৩ বছর বয়সি অন্য এক রোগীর শরীরে। নীলশেখরের একটি বৃক্ক বা কিডনি প্রতিস্থাপিত হচ্ছে অ্যাপলো হাসপাতালের ৫৪ বছর বয়সি এক রোগীর শরীরে। অন্যটি পাবেন কম্যান্ড হাসপাতালের ৩০ বছর বয়সি এক যুবক। 


এক ব্যক্তির থেকে এত অঙ্গ সংগ্রহে নজির নেই শহর কলকাতায়


এ ছাড়াও, এয়ার অ্য়াম্বুল্যান্সের সাহায্যে চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়েছে নীলশেখরের শরীর থেকে সংগৃহীত ফুসফুস এবং ক্ষুদ্রান্ত। সেখানে MGM হাসপাতালে ৫৯ বছর বয়সি এক রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হবে নীলশেখরের ফুসফুস। নীলশেখরের ক্ষুদ্রান্ত প্রতিস্থাপন করা হবে আট বছর বয়সি এক শিশুর শরীরে।