কলকাতা: খাস কলকাতায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। শোভাবাজারে তৃণমূলের যুব সভাপতিকে সপাটে চড় কাউন্সিলরের। তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা সরকারের স্বামীর মাথা ফাটানোর অভিযোগ। এলাকায় সাট্টা-জুয়ার প্রতিবাদ করায় মার, দাবি তৃণমূল যুব সভাপতির। পাল্টা তৃণমূলের যুব নেতার বিরুদ্ধেই সাট্টা-জুয়ায় ইন্ধনের অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের।
মতবিরোধী হলেই উঠে যাচ্ছে হাত, একাধিক চড়ের ঘটনা শহরে
রাজ্য-রাজনীতি এখন আর বাক্যবাণেই থেমে নেই। মতবিরোধী হলেই উঠে যাচ্ছে হাত। চড় মারার ঘটনা আগেও একাধিকবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঘটেছে। বলতে গেলে বেশি আগে নয়, লোকসভা ভোটের সময় এমনই ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল বালুরঘাট। বালুরঘাট পুরসভার ২২ নং ওয়ার্ডে মহিলা বিজেপি কর্মীকে সপাটে চড় কষিয়েছিলেন মহিলা তৃণমূল কর্মী। যদিও এই ঘটনার পর অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিনি।
ভোটের আবহে এমন ঘটনার সাক্ষী হাওড়াও
ভোটের আবহে হাওড়াতেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। লিলুয়ায় প্রিসাইডিং অফিসারকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছিল পোলিং এজেন্টদের বিরুদ্ধে। তবে এখানেই শেষ নয়, সদ্য তৃণমূল বিধায়ক তথা সোহমের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ উঠেছিল। মেজাজ হারিয়ে শহরের এক রেস্তরা মালিককে চড় ও মারধর করেছিলেন সোহম, বলে অভিযোগ উঠেছিল।
আরও পড়ুন, তোলাবাজি না থাকলে TMC খালি হয়ে যাবে : অর্জুন সিং
তৃণমূল কর্মীকে সপাটে চড়
ভোটের বছরে আরও একটি ঘটনার সাক্ষী বড়ঞা। বড়ঞায় হরিবাটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের বুথের বাইরে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের ঝামেলা বাধে। কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূল কর্মীকে সপাটে চড় মারধরের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। অতীতে কর্তব্যরত সরকারি নার্সকে চড় মারার অভিযোগও উঠেছিল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে চড় মারার দাবি তুলেছিলেন মুর্শিদাবাদের সালার গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত নার্স। মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন রেজি বেগম। অভিযোগ, অন্য ঘরে গিয়ে ইঞ্জেকশন নিতে বলায় নার্সকে চড় মারেন তিনি। প্রতিবাদে গ্রামীণ হাসপাতালে আংশিক কর্মবিরতি শুরু করেন নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।