ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: আগামী দু'-তিন ঘণ্টার মধ্যে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামতে চলেছে কলকাতায়। শহরের বেশি কিছু অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি নামতে চলেছে। সঙ্গে প্রবল ঝোড়ো হাওয়াই বইতে পারে (Kolkata Weather Updates)। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। দুর্যোগের সময় নিরাপদ জায়গায় থাকতে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। (Kolkata Rainfall) কলকাতার সংলগ্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার অবশেষে স্বস্তির ধারাপাত দেখতে চলেছেন সাধারণ মানুষ। আকাশ ইতিমধ্যেই কালো মেঘে ঢাকা পড়েছে। কলকাতার আশেপাশের জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকাতাতেও আর কিছু ক্ষণের মধ্যে বৃষ্টি ঢপকে পড়তে চলেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে গত কয়েক দিন ধরে যে দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হচ্ছিল কলকাতাবাসীকে, তা থেকে মুক্তি মিলবে বলে আশা।
তবে পুরোদস্তুর বর্ষায় এখনও দেরি আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই বর্ষণকে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি বলেও অভিহিত করা হচ্ছে। এই বৃষ্টি দাবদাহ থেকে স্বস্তি এনে দিতে পারে বলে আশা করছেন সাধারণ মানুষও। একটানা যে তাপপ্রবাহের প্রকোপ চলছে, তা থেকে কিছুটা নিস্তার মিলতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।
আরও পড়ুন: NET Exam Cancelled: NEET থেকে NET, কেন বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে NTA এর পরীক্ষা পদ্ধতি?
তীব্র দাবদাহের সঙ্গে একটানা যুঝে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। তাই বৃষ্টির জন্য কার্যতই চাতকের মতো অপেক্ষা করছিলেন সাধারণ মানুষ। এবার সেই অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সপ্তাহান্তে এবং আগামী সপ্তাহেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। তবে বৃষ্টি হলেও গরম থেকে এখনই রেহাই নেই। দক্ষিণবঙ্গে আজও গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। তবে বৃষ্টিতে পারদ বেশ খানিকটা নামতে পারে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ আরও কিছুদিন চলবে। সিকিম ও ভুটান পাহাড়ের পাশাপাশি, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন নদীর জলস্তর বাড়বে। পার্বত্য এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা। ফলে উত্তরে দুর্ভোগ এখনই কমছে না।
এই মুহূর্তে সিকিম ও দার্জিলিং-কালিম্পঙে অবিরাম বৃষ্টিতে তিস্তার জল বিপদসীমার উপরেই রয়েছে। জলের তোড়ে সিকিমের দিক থেকে কালিম্পঙের তারখোলায় ভেসে এসেছে মৃতদেহ। দার্জিলিং-কালিম্পং রোডের ওপর দিয়ে বইছে তিস্তা। ফের বন্ধ যান চলাচল। জলে ভাসছে তিস্তাবাজার এলাকা। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের জায়গায় জায়গায় ধস নামায় রাস্তা বন্ধ। গাড়ির লম্বা লাইন, আটকে পড়েছেন পর্যটকরা। আবহাওয়া দফতর দুর্যোগ চলবে বলে জানানোয় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পাহাড়বাসী।