কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: আচমকা তৃণমূল কংগ্রেসের দুই পদ থেকে ইস্তফা কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh Resigns)। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা। মমতা ও অভিষেককে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। নিলেন না সরকারি নিরাপত্তাও। মুখপাত্রদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh Resigns from TMC)। দলের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে কুণালের ইস্তফা, দাবি ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে।
এদিনই সকালে নিজের X হ্য়ান্ডেল থেকে রাজনৈতিক পদ ও পরিচয় মুছে দেন কুণাল ঘোষ।
কেন এরকম সিদ্ধান্ত তা নিয়ে এখনও প্রকাশ্য কোনও মন্তব্য় করেননি কুণাল ঘোষ। তবে দিনটির জন্য়ই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কারণ এদিনই প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এসেছেন। জনসভা থেকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলকে। আর কুণাল ঘোষকে মুখপাত্র হিসেবে প্রতিদিনই দলের হয়ে ব্যাটিং করতে, দলতে ডিফেন্ড করতে দেখা যায়। তাই এমন দিনে সোশ্য়াল মিডিয়া হ্যান্ডেলে রাজনৈতিক পরিচয় মুছে দেওয়া এবং দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
যদিও নিজের X হ্যান্ডেলে নিজের অবস্থান সাফ জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'আমি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদে থাকতে চাইছি না। সিস্টেমে আমি মিসফিট। আমার পক্ষে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি দলের সৈনিক হিসেবেই থাকব। দয়া করে দলবদলের রটনা বরদাস্ত করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সেনাপতি। তৃণমূল আমার দল।'
নরেন্দ্র মোদির সভার প্রসঙ্গও তুলে X হ্যান্ডেলে লিখেছেন কুণাল। সেখানে তোপ দেগেছেন দুজনের প্রতি। কুণাল লিখেছেন, 'নরেন্দ্র মোদি বাংলার মাটিতে একরাশ কুৎসা করে গেলেন। যুক্তিতে তাঁকে ধুয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু ঘটনা হল তাঁর কড়া সমালোচনার মূল দায়িত্ব যাঁদের, দুটি আলাদা বিরোধী দলের লোকসভার দলনেতারা তো প্রধানমন্ত্রীরই লোক। এঁদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ। এই দুজনকে দুভাবে ব্যবহার করেন মোদি। একজনকে রোজ ভ্যালি থেকে বাঁচিয়ে গলায় বকলস পরিয়ে রেখেছেন।' নাম না করে কাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কুণাল। তাঁর নিশানায় কি দলেরই কোনও নেতা?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: 'মা-বোনেদের সঙ্গে যা হয়েছে, তার জবাব দিতে হবে', সন্দেশখালি নিয়ে তোপ মোদির