ঝিলম করঞ্জাই, সৌমেন চক্রবর্তী, কলকাতা : কুয়েতে বহুতলে অগ্নিকাণ্ডে মৃত ইঞ্জিনিয়ারের কফিনবন্দি দেহ পৌঁছল রাজ্যে। সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয় দ্বারিকেশ পট্টনায়কের দেহ। বিমানবন্দরে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী সুজিত বসু ও মেদিনীপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল।
ইঞ্জিনিয়ারের দেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে মেদিনীপুর শহরে। সেখানেই মেয়েকে নিয়ে থাকেন মৃতের স্ত্রী। এরপর দ্বারিকেশের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে দাঁতনের খণ্ডরুই গ্রামের বাড়িতে। বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার দ্বারিকেশ কর্মসূত্রে প্রায় ২৮ বছর ধরে কুয়েতে থাকতেন। সেপ্টেম্বরে দেশে ফেরার কথা ছিল।
এদিকে কুয়েত থেকে দেহ ফেরত আনা নিয়ে বাংলায় রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে। কুয়েতে মৃত ইঞ্জিনিয়ারের দেহ কে ফেরাল, তা নিয়েই এখন তৃণমূল, বিজেপি বিরোধ তুঙ্গে। রাজ্য সরকারই সব ব্যবস্থা করেছে বলে দাবি করেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এদিকে বিজেপির তরফে অগ্নিমিত্রা পালের পাল্টা দাবি, কুয়েত থেকে দেহ ফিরিয়ে এনেছে মোদি সরকার। বিজেপি নেত্রীর কটাক্ষ, রাজ্যে চাকরি না থাকায় অনেকেই বিদেশে কাজ করতে যাচ্ছেন, কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে, সামনে আসছে এই সমস্ত তথ্য। পাল্টা সুজিত বসুর মন্তব্য, দাঁতনের এই ইঞ্জিনিয়ার কয়েক দশক আগে কুয়েতে যান। সেইসময় রাজ্যে তৃণমূল সরকার ছিল না। কাজের সুযোগ থাকলে বিদেশে যাওয়া অন্যায় নয় বলে দাবি করেন রাজ্যের মন্ত্রী।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ, কোচি বিমানবন্দরে ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমান এসে পৌঁছায় কুয়েতে মৃত ভারতী.দের দেহ। মৃতদের মধ্যে ২৩ জন কেরলের বাসিন্দা। ৭ জন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। মৃতদের তালিকায় আছেন উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, বিহার, পঞ্জাব, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া কর্মীরা। শুক্রবার মৃতদের দেহাবশেষ বিমান বন্দরে রাখা হয়। সেখানে অনেকেই শেষ শ্রদ্ধা জানান। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও এসেছিলেন।
কুয়েতে বহুতলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে যাঁরা বেঁচেছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। জানা গিয়েছে, এই বাড়িতে আগুন লাগার যথেষ্ট কারণ ছিল। সাত তলা বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরে ৩০ টির কাছাকাছি গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। কর্মীদের থাকতে হত ঘিঞ্জিভাবে। তাঁদের থাকার জায়গায় দেওয়াল ছিল পেপার, কার্ডবোর্ড, প্লাস্টিকের তৈরি। স্বাভাবিক ভাবেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি।
আরও পড়ুন:
তৃণমূলের পরই উপনির্বাচনের জন্য ৪ প্রার্থীর নাম ঘোষণা বাম কংগ্রেস জোটের, তালিকায় কারা?
আরও পড়ুন