সুনীত হালদার, হাওড়া: লোকসভা ভোটের আগে (Lok Sabha Election 2024), হাওড়া স্টেশন এলাকায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। প্রাক্তন পুরমাতা ও তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ বিধায়ক এবং আইএনটিটিইউসি সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ (Golabari Police Station)।


অসামাজিক কাজের প্রতিবাদে প্রাক্তন পুরমাতা ও তার স্বামীকে বেধড়ক মার


আজ দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার অন্তর্গত হাওড়া পাইকারি মাছ বাজার এলাকায়। হাওড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুরমাতা লক্ষ্মী সাহানি অভিযোগ করেন যে, হাওড়া স্টেশন এলাকায় অসামাজিক ও বেআইনি কাজ চলছে উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর মদতে। এর প্রতিবাদ করায় তাদের ওপর হামলা হয়। তাকে ও তাঁর স্বামী সন্তোষ সাহানিকেও মারধর করা হয়। ৫০ থেকে ৬০ জন মহিলা এবং পুরুষ তাঁদের পার্টি অফিসের সামনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। যাদের পাঠায় উত্তর হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক গৌতম চৌধুরী এবং আইএনটিটিইউসির হাওড়া সদরের সভাপতি অরবিন্দ দাস বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


'দল তদন্ত করলে ওরা বহিষ্কৃত হবেন..'


খবর পেয়ে ছুটে আসে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হবে বলে প্রাক্তন পুরমাতা জানিয়েছেন।অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। ফোনে তিনি বলেন, এইসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।বর্তমানে বিভিন্ন দল বিরোধী কাজের জন্য উত্তর হাওড়ার কোনও দলীয় কার্যক্রমে প্রাক্তন পুরমাতা ও তার স্বামীকে ডাকা হয় না। দল তদন্ত করলে ওরা বহিষ্কৃত হবেন। হাওড়া সদরের আই এন টি টি ইউ সি সভাপতি অরবিন্দ দাস বলেন,' ব্যক্তিগত ঝামেলা থেকে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।'


আরও পড়ুন, BJP-র দ্বিতীয় দফার তালিকাও প্রকাশ্যে, নাম নেই বাংলার, কোন পথে অর্জুন ?


'নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে মারামারি, এটাই তৃণমূলের আসল চরিত্র'


তবে ওই প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং তার স্বামী বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তারা উদ্ধত আচরণ করেন। আর গত ১০ বছর ধরে তিনি কেন চুপ ছিলেন ? এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এদিকে এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই। তিনি বলেন,' তোলাবাজি নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে মারামারি। এটাই তৃণমূলের আসল চরিত্র।'