কলকাতা: তিনি এমনিতেই রঙিন। রকমারি ধুতি-পাঞ্জাবি থেকে লেটেস্ট সানগ্লাসে যে কোনও সিনেপর্দার নায়কের ক্যারিশমাকে হেলায় চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা রাস্তায় তাঁর ফ্যান ফলোয়িং ঈর্ষা জাগাতে পারে যে কোনও নেতা থেকে অভিনেতাকে। পঞ্চমীর দিন সেই মদন মিত্রই খোলামেলা আড্ডা দিলেন এবিপি আনন্দের স্টুডিওতে। কেমন লাগে পুজো, তার পুজো কেমন কাটে সব মিলিয়ে একেবারে 'ওপেন বুক' মদন (Madan Mitra)। 


অন্তত তিন থেকে চার দশক দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন তিনি। পুজোর জোগাড় থেকে চাঁদা তোলা, সব করেছেন নিজেই জানালেন সেকথা। সেই মদন মিত্র বললেন, '৩০-৪০ বছর ধরে পুজো দেখছি। এবারের মতো পুজো, এত রঙিন পুজো আগে হয়নি।' কেমন এমন অনুভূতি? তার কারণ হিসেবে মদন বললেন উদযাপনের কথা। চতুর্থীতে তিনি বেরিয়েছিলেন। ওই দিন রাত ১টা ১৫ পর্যন্ত ভিড় রাস্তায়, তা দেখেই তাঁর এমন অনুভূতি। মদন জানাচ্ছেন, এতদিন পুজো দেখছেন কিন্তু চতুর্থীর দিন এমন ভিড় তিনি আগে দেখেননি। কামারহাটির (Kamarhati) বিধায়ক ভবানীপুরের বাসিন্দা। দুটো জায়গাতে তো বটেই আরও একাধিক পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন তিনি। এই কদিনেই নানা পুজোয় দেখা গিয়েছে মদন মিত্রকে। সব জায়গাতেই নানাভাবে দেখা গিয়েছে মদন মিত্রকে। এবিপি আনন্দে পুজোর আড্ডায় সেই অভিজ্ঞতার কথাই তুলে ধরলেন তিনি। তার মধ্যে অবশ্যই এসেছে সেলফির কথা। মোবাইলের যুগে 'সেলেব'র সঙ্গে সেলফি তুলতে সবাই ভালবাসেন। তাই মদন মিত্রকে দেখলেই নাকি সেরকমই হচ্ছে। এই কথা বলতে গিয়ে অমিতাভ বচ্চনের 'কালিয়া'র জনপ্রিয় সংলাপের অনুকরণে মদন উবাচ- 'হাম যাহা খাড়া হোতা হ্যায়, সেলফি ওঁহিসে শুরু হোতা হ্যায়।' পুজো মণ্ডপে গেলেই নাকি তাঁর এমনই অভিজ্ঞতা হচ্ছে।


এদিন মদন মিত্রের সঙ্গে আড্ডায় ছিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এবং আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ ভট্টাচার্য। রাজনীতিতে মদনের একেবারে উল্টোশিবিরে রয়েছেন শমীক। বছরভর রাজনৈতিক আকচাআকচি-কটাক্ষ দেখাই যায়। এদিনটা ছিল আলাদা। শমীকে শিল্পী মন নিয়ে দরাজ প্রশংসা শোনা গেল মদন মিত্রের গলায়। চলেছে হালকা কটাক্ষের মোড়কে খুনসুটিও। এদিন গানে গানেও মাতিয়েছেন মদন। কখনও 'ফাগুন লেগেছে বনে বনে...', কখনও 'পুরনো সেই দিনের কথা...' গেয়ে পঞ্চমী মাতালেন মদন।


আরও পড়ুন: সুরুচি সংঘে ঢাকে বোল তুললেন দেব, নাচলেন নুসরত... জমজমাট মহাপঞ্চমীতে উত্তর থেকে দক্ষিণে দর্শনার্থীর ঢল