সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : শিক্ষায় নিয়োগ, গরুপাচার, কয়লাপাচার থেকে পুর নিয়োগ। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার তৃণমূল সরকার। জেলবন্দি হয়েছেন তিন বিধায়ক। অনুব্রত মণ্ডলের মতো দাপুটে নেতাও এখন জেলে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি-র তরফে ডাকা হয়েছে অভিষেক-পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে। পুর নিয়োগের দুর্নীতিতে অলআউট অভিযানে নেমেছে সিবিআই (CBI)। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে হুঁশিয়ারি ছুড়লেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। তৃণমূল বিধায়কের হুঙ্কার, 'কোথায় যাচ্ছেন তৃণমূলকে আগে না জানালে, রাস্তায় আটকে যেতে পারেন। এমন সভা হবে, ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স পাবে না ইডি, সিবিআই।'


বরানগরের টবিন রোডে তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রার প্রস্তুতি সভা থেকে রাজ্যে দুর্নীতির তদন্তকারী কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে  'রোজ চুলকোবেন না' বার্তা দিয়েছেন মদন মিত্র। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে কামরাহাটির তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, 'সারা বাংলায় এমন সভা হবে যে, ইডি, সিবিআই ঢোকার মতো রাস্তা খুঁজে পাবে না। সবার আগে বলি, একটা চিঠি তৃণমূল অফিসে দিয়ে দিলেই চলবে। আমরা বুঝে নেব। আমাদের একটা অফিস আছে অভিষেকের বাড়িতে, যে আমরা এখানে এখানে মুভ করতে চাই। একটা প্রস্তাব আছে বিজেপির কাছে। রোজ চুলকোবেন না। একদিন চুলকোন। আপনি একা আসবেন না। সঙ্গে সিবিআই, ইডি, এনআইএ, র, ডিআরআইএ, নেভি, আর্মি, যা যা আছে সব নিয়ে আসুন। রোজ চুলকোবেন না। বেশি চুলকোলে কিন্তু ঘা হয়ে যাবে।' মদন মিত্রের যে হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পাল্টা আক্রমণ, 'রাজনীতিতে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন'।           


আরও পড়ুন- রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সরিয়ে মোদিকে উপহার পাঠালেন মমতা, বাংলার আম গেল রাষ্ট্রপতির কাছেও


প্রসঙ্গত, গত মাসেও কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ খুলেছিলেন মদন মিত্র। তৃণমূলের নেতার বক্তব্য ছিল, 'বড় লড়াইয়ের জন্য তৈরি হোন। পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু আরও অত্যাচার বাড়বে। আগামীকাল-পরশুর মধ্যে হয়তো বরানগর, কামারহাটির পাড়ায় পাড়ায় অত্যাচার বাড়বে। এজেন্সির নামে লোক ঢুকে যাবে। ঘাবড়াবার কিছু নেই। মাথা তুলে থাকবেন। যাই হোক না কেন, আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই লড়াইটা লড়ে নেব।'            


 



আরও পড়ুন:আর্থ্রারাইটিসের তীব্র যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন? রোজের মেনুতে রাখতে পারেন এই ফলগুলি, পাবেন উপকার