কামারহাটি, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের হুঁশিয়ারি মদন মিত্রের। কামারহাটিতে মিছিল থেকে কড়া বার্তা তৃণমূল বিধায়কের।


কী বললেন মদন:
এদিন কামারহাটিতে একটি মিছিল থেকে মদন বাম-কংগ্রেস-বিজেপির আঁতাঁতের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'বিজেপিকে নিয়ে বাম-কংগ্রেস বাড়াবাড়ি করলে আস্তিন গুটিয়ে দেব। বেশি বাড়াবাড়ি করলে ঘরে ঢুকিয়ে দেব।'



এর আগে সাগরদিঘির উপ নির্বাচনে তৃণমূলের হার নিয়েও বিস্ফোরক হয়েছিলেন মদন মিত্র। তিনি বলেছিলেন, 'দলের মধ্যে অন্তর্ঘাতের একটা চক্রান্ত আছে। যে যত বড় নেতাই হোক না কেন, দল রেয়াত করবে না', প্রত্যেকের গতিবিধির ওপর নজর রাখা উচিত, ফের বিস্ফোরক মদন। তৃণমূল নেতা বলেন, 'ঘোড়ার গাড়ি চড়ে এসে তুমি রাজা হতে পারো, নেতা হতে পারবে না... মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সংগ্রামের পথ দিয়ে নবান্নে বসেছেন, গোটা তৃণমূলে তো সেই রোদের দাবদাহ সহ্য করে এমএলএ-এমপি হয়নি অনেকে। সরাসরি কারও নাম করলেন না। কিন্তু, সাগরদিঘির ভোটে তৃণমূলের হারের পর ফের বিস্ফোরণ ঘটালেন মদন মিত্র। নাম না করে, কার দিকে ইঙ্গিত করলেন তিনি? সেই জল্পনা জোরাল হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়। সাগরদিঘিতে ভরাডুবির জন্য কার্যত দলের একাংশের দিকে আঙুলও তুলেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। মদনের কথায়, 'একটানা দালালি যারা করেছে, তারা তো বেসুরো বাজবে। দলের মধ্যে নজরদারি করতে হবে। এখন বিধানসভার ফ্লোরে গিয়ে দেখুন কোন কোন বিধায়কের মুখে গোঁফের রেখায় হাসি দেখা যাচ্ছে।' 


এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও মুখ খুলেছিলেন মদন মিত্র। কুন্তল ঘোষ, গোপাল দলপতি প্রসঙ্গ নিয়ে যখন রাজ্য তোলপাড়। তখনও মুখ খুলেছিলেন মদন। তিনি বলেন, 'কুন্তল বলছে সব টাকা দলপতিকে দিয়েছে, তার পর কালীঘাটের কাকু। এঁদের সূচ দিয়ে কে ঢুকিয়ে দিল দলে? তৃণমূল অবস্থান স্পষ্ট করুক।' দলের উদ্দেশেই অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য় কার্যত চ্য়ালেঞ্জ ছুড়লেন মদন। তাঁর বক্তব্য, "কুন্তলকে দলের দায়িত্বের চিঠি কে দিয়েছে? কার নির্দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে? একজন নেতা তো বলুক! তৃণমূল করেন, না করেন না! তাহলে আমরা পার্টির ছেলেদের বলতে পারি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে এমন চলবে! এটা মানা যাচ্ছে না। যে সব নাম উঠে আসছে তৃণমূল করে বলে, এত পচা লোকজন তৃণমূল করে? ছিঃ...কারা এদের নেতা? কে ঢোকাচ্ছে? এটা খোঁজা হোক। কারা তৃণমূল করছে? একটা মিটিং ডাকা হোক।


আরও পড়ুন: পুকুরের জল থেকে উদ্ধার কয়েক কোটির টাকা মূল্যের সোনার বিস্কুট