কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : মাধ্যমিকের (Madhyamik Exam 2023) দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা শুরুর পর বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতির ট্যুইট ঘিরে জল্পনা। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Mazumdar) অভিযোগ, সকাল থেকে সমাজ মাধ্যমে ঘুরে বেড়িয়েছে ইংরেজির প্রশ্নপত্র (English Question Paper)। এটা কোনও প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাই নয়, পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত ! প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিক্রিয়া পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের।


ইংরেজি প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন


জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে, শুক্রবার ছিল দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরুর পর বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়। ৩ পাতা প্রশ্নের ছবি দিয়ে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডলে সুকান্ত মজুমদারে লেখেন , এদিন সকাল থেকেই এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার ইংরেজি প্রশ্নপত্র বলে এই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু সময়ের মধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি না তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।


'অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে কারও প্ররোচনা দেওয়া উচিত নয়'


প্রথম দিনের মতো এদিনও পরীক্ষা শেষ হয়েছে নির্বিঘ্নে। দুপুর ৩ টের পর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এটি কোনও প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাই নয়, পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত! পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা পর সোশাল মিডিয়ায় ১৬ পৃষ্ঠার ইংরেজি প্রশ্নপত্রের ৩টি পাতা বেরিয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস হলে পরীক্ষা শুরুর আগে ১৬ পাতাই বেরোত। ঠিক কোথা থেকে এই অন্তর্ঘাত করা হয়েছে, তার তদন্ত করার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে ১১টা ৪৫-এ। পরীক্ষা শুরু হয়েছে বেলা ১২টায়। যখন সোশাল মিডিয়ায় এই ঘটনা ঘটে, তখন সমস্ত পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকরা পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে ছিলেন। সুতরাং পরীক্ষার ওপর এই ঘটনার কোনও প্রভাব নেই। এমন অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে কারও প্ররোচনা দেওয়া উচিত নয়। 


যে ঘটনা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, 'ডিএম এসপিদেরর কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে'। যদিও এত কড়াকড়ির মধ্যেও কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, এবার মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪ লক্ষ। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে করতে পর্ষদ ও পুলিশের পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন- 'সব টাকা দিয়ে চাকরি, সরকার কি জানে না', বিস্ফোরক দাবি তৃণমূল কর্মীর