করুণাময় সিংহ, মালদহ: মধ্যিখানে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও, শিকড়ের সংযোগ এখনও রয়েই গিয়েছে। দুই দেশকে একসুতোয় বাঁধতে তাই অভিনব উদ্যোগ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (BSF)।  স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে (Indian Independence at 75) এক দিকে ‘আজাদি কা মহোৎসব’-এর ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্য দিকে, এ বছরই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে আয়োজিত সাইকেল র‌্যালির প্রথম পর্ব  সম্পূর্ণ করল বিএসএফ। 


রবিবার উত্তরবঙ্গ সীমান্তের কদমতলা দ্রোণাচার্য স্টেডিয়াম থেকে এই র‌্যালি শুরু করে বিএসএফ-এর ৪৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ন। প্রায় ২১৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মালদহের নারায়ণপুরে এসে শেষ হয় সেই র‌্যালি। সেখানে সকলকে স্বাগত জানান কমান্ড্যান্ট এইচ এস বেদী এবং ডেপুটি কমান্ড্যান্ট জেনারেল চন্দ্রশেখর গিরি। এর পর বুধবার সকালে ফের বৈষ্ণবনগর ১৭ মাইলের উদ্দেশে রওনা দেয় এই র‌্যালি। 


তাই এই র‌্যালি সফল করতে সর্বান্তকরণে চেষ্টা চালাচ্ছে বিএসএফ। ১২ জন পুরুষ, ৫ জন মহিলা মিলিয়ে ১৭ জন করে এই র‌্যালিতে অংশ নিয়েছেন। সাইকেল আলির ক্যাপ্টেন সন্তোষকুমারও রয়েছেন তাঁদের মধ্যে। মোট ৫৫০ কিলোমিটার পেরনোর লক্ষ্য রয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর পেট্রাপোলে র‌্যালি শেষ হবে। 


আরও পড়ুন: ফুল-মিষ্টি নিয়ে সিপিএম-এর দুয়ারে বিজেপি, লাল-গেরুয়া সংযোগ ঘিরে জল্পনা


এ দিন সকালে সবুজ পতাকা দেখিয়ে র‌্যালি শুরু হয়। সেখান থেকে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা পৌঁছনোর কথা এই র‌্যালির। বিএসএফ জানিয়েছে, এই সাইকেল যাত্রার উদ্দেশ্য হল, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাসকারী সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি করা, বিএসএফ এবং বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড-এর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে দুই দেশের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সচেতনতা তৈরি  করা। 


সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ইদানীংকালে অপরাধমূলক ঘটনা বেড়েছে। আকছার গরুপাচার চলে। সীমান্ত এলাকায় এই ধরনের অপরাধমূলক কাজকর্ম যাতে আটকানো যায়, তা নিয়েও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে চায় বিএসএফ। 


সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এক্তিয়ারবৃদ্ধির জেরে বর্তমানে বিএসএফ-কে (BSF) ঘিরে বিতর্ক চলছে। সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলিতে তাদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলেও। এমন পরিস্থিতিতে সাইকেল র‌্যালির মাধ্যমে স্থানীয়দের মধ্যে বিএসএফ গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে চাইছে বলে মনে করছেন অনেকে।