করুণাময় সিংহ, কালিয়াচক: কালিয়াচকে (Kaliachak) স্কুল মালিকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার চার। গত ১০ জানুয়ারি মালদার বৈষ্ণবনগর থানার সাহাবানচক গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব বেদরাবাদ এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। স্কুল মালিকের পরিবারকে বন্দুক ঠেকিয়ে হাত-পা বেঁধে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার করা হল চারজনকে।
ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার চার: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১১ জনের ডাকাত দল ছিল। ধৃতদের নাম জিয়াউল শেখ(৩৮), রাশিদুল শেখ(৩৫), রাহুল শেখ(২০), নাজমুল শেখ(২৭)। বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের মালিক মহম্মদ উজির হোসেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন জানালার গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। এরপর পরিবারের সদস্যদের বেঁধে রেখে চলে লুটপাট। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। ১০ ভরি সোনা এবং নগদ দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে দুষ্কৃতীদের মুখ বাঁধা থাকায় কাউকে চিনতে পারেনি বাড়ির সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তিনদিনের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কখনও সোনার দোকানে ডাকাতি কখনও বা স্কুল মালিকের বাড়িতে ডাকাতি। গত কয়েক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর আগে গতবছর বড়দিনের সন্ধেয়, চাঁচলে (Chanchol) সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। পাঁচ মিনিটের অপারেশনে পাঁচ ডাকাত মিলে প্রায় সাড়ে চার কোটির গয়না লুঠ করে বলে অভিযোগ ওঠে। জমজমাট বাজার বড়দিনে সন্ধেয় ৭টা ১৫ নাগাদ চাঁচলের ঢাকা জুয়েলার্সে প্রথমে ক্রেতা সেজে ঢোকে তিনজন দুষ্কৃতী। তাঁদের মধ্যে ১ জনের মাথায় ছিল হেলমেট। সাধারণ হুডি ও টুপি পরে ঢোকে বাকি ২ জন। ঢুকেই, কর্মীদের গানপয়েন্টে রেখে শুরু হয়ে যায় লুঠপাট। কয়েক সেকেন্ড পর সেখানে ঢোকে হেলমেট পরা আরেক দুষ্কৃতী। বন্দুক হাতে তাণ্ডব শুরু করে সেও। শোকেস তছনছ করে বের করে নেওয়া হয় সব গয়না। সেইসময় এক কোনায় সিঁটিয়ে থাকতে দেখা যায় দোকানের ৬ কর্মীকে। ভিতরে যখন অপারেশন চলছে, তখন বাইরে পাহারা দিচ্ছিল আরেক দুষ্কৃতী।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।