করুণাময় সিংহ, মালদা: পুরাতন মালদা পুরসভায় (Old Malda Municipality) কাউন্সিলরদের (Councillors) ভাতা (allowance) বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ দেখা গেল দলের অন্দরেই। তিন হাজার ৭০০ টাকা থেকে কাউন্সিলর ভাতা বৃদ্ধি করে করা হয়েছে আট হাজার টাকা। এই নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পুরাতন মালদার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পুরাতন মালদা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি (TMC President) বৈশিষ্ট্য ত্রিবেদী। তাঁর অভিযোগ, এই ভাতাবৃদ্ধি মোটেও নিয়ম মেনে হয়নি।


কী অভিযোগ?
পুরাতন মালদা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলরের প্রশ্ন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের স্বার্থে নিজের ভাতা ছেড়ে দিচ্ছেন, সেখানে কাউন্সিলর ভাতা  বাড়ানো হল কেন? যদিও পুরাতন মালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের দাবি, নিয়ম মেনেই ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বোর্ড অফ কাউন্সিলরসের বৈঠকেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যেখানে হাজির ছিলেন বৈশিষ্ট্য ত্রিবেদীও। মানুষের কাজ না করে নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি করতে ব্যস্ত তৃণমূল, বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপির। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির। শীর্ষনেতাদের প্রতিক্রিয়া,  সরকারের অনুমোদন ছাড়া ভাতা বৃদ্ধি করা যায় না। পুরাতন মালদায় কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে, জানাচ্ছেন তাঁরা।


কী ঘটেছিল?
দলীয় কাউন্সিলরের অভিযোগের মুখে পুরাতন মালদা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম অবশ্য বলেছেন, 'আমরা চুরি করি না। সৎ ভাবে পৌরসভা চালাই। তাই কাউন্সিলরদের স্বার্থরক্ষার্থেই ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।' কিন্তু যে ভাবে এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে তাতে অস্বস্তি আড়াল করতে পারছে না শাসকদল। উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরির অভিযোগ, 'তৃণমূল কেবল নিজের স্বার্থ দেখে নিজের শ্রীবৃদ্ধি ঘটায়। তাই এই ভাবে ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এইভাবে ভাতা বৃদ্ধি করা যায় না।'  তাৎপর্যপূর্ণভাবে একসুর শোনা যায় রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীর কথাতেও। বলেন, 'সরকারের অনুমোদন ছাড়া ভাতা বৃদ্ধি করা যায় না।' পুরাতন মালদা পুরসভার ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে, তা খতিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও তিনি দেন বলে খবর। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যে শাসকদলের মধ্য়ে মতপার্থক্যের সুর কি বিরোধীদের অক্সিজেন দেবে না? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। ঘটনাচক্রে এদিনই আবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদ প্রকাশ্যে আসে। ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পথে নামেন দলীয় কর্মীরা।


আরও পড়ুন:জয়নগরে গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার ফেটে ৪ জনের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক ২