করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদার (Malda) খরবা গ্রামপঞ্চায়েতে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ। কাজ না করিয়েই ভুয়ো বিল বানিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে! লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধানের স্বামী। চলছে রাজনৈতিক তরজা।


কাজেই লাগানো হয়নি গ্রামবাসীদের। অথচ অভিযোগ, দিব্যি বানিয়ে ফেলা হয়েছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের বিল! ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে আত্মসাৎ করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। কাঠগড়ায় খোদ প্রধান ও উপপ্রধান। এমনই অভিযোগ ঘিরে সরগরম মালদার চাঁচল এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত খরবা গ্রামপঞ্চায়েত। 


একশো দিনের কাজে প্রধান এবং উপপ্রধানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে, মহকুমাশাসক ও বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন খরবা গ্রামপঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস (Congress) সদস্য। খরবা গ্রামপঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য মুরতুজ আলম বলেন, "নিজের আত্মীয়-স্বজন এমনকি সরকারি কর্মচারীদের নামে ১০০ দিনের কাজের বই তৈরি করে ভুয়ো মাস্টার রোল বানিয়ে কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে পঞ্চায়েত।"


আরও পড়ুন, ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায় সাজলেন বীরভূমের ‘কেষ্ট কালী’


একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বাসিন্দা আনারুল হক  বলেন, "সরকার আমাদের গরিব মানুষদের জন্য ১০০ দিনের কাজের ব্যবস্থা করেছে। সেই টাকা পেয়ে আমরা সংসার চালায়। কিন্তু এই পঞ্চায়েত কোনও কাজ না দিয়েই আমাদের নামে টাকা তুলে নিচ্ছে। আমরা টাকা পাচ্ছিনা। ওদের বড় বড় বাড়ি হচ্ছে। আর আমরা না খেয়ে থাকছি।"


দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। পঞ্চায়েত প্রধান পারভিনা খাতুনের স্বামী মংলু শেখ বলেন, "মিথ্যে অভিযোগ। ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিডিও ঘটনার তদন্ত করুক।" প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য একধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, ফোন ধরেননি উপপ্রধান।