অভিজিৎ চৌধুরী, চাঁচল : সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। সেই লক্ষ্যে প্রতিটি দল কম-বেশি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এই আবহেই দলীয় শক্তি কিছুটা বাড়িয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সিপিএম ও অন্যান্য দল ছেড়ে প্রায় ৬০ জন কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। মালদার চাঁচল-১ নং ব্লকের ঘটনা।
রবিবাসরীয় বিকেলে তৃণমূলের ১২ নম্বর জেলা পরিষদ সদস্য সামিউল ইসলামের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন তাঁরা। এদিন চাঁচলের পূর্ত দফতরের উল্টো দিকে তৃণমূল কার্যালয়ে যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাজির ছিলেন শাসক দলের বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানরা। প্রায় ৬০ জনের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন ; তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগদান একাধিক নেতা-কর্মীর, শোরগোল দাসপুরের রাজনীতিতে
তৃণমূলে যোগদানকারীরা চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের সিহিপুর-নৌগাছিয়ার বাসিন্দা বলে দলীয় সূত্রে খবর। যদিও সিপিএমের দাবি, যোগদানকারীরা তাদের দলের কর্মী নন। তবে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে নবাগত কর্মীরা অক্সিজেন যোগাবে বলে মনে করছে তৃণমূল।
দাসপুরে উলটপুরাণ !
সপ্তাহ দুয়েক আগে উল্টো ছবি দেখা গিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দেন একাধিক নেতা। দাসপুরের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে। দাসপুর থানার ২ নম্বর ব্লকের বিষ্ণুপুর বুথের তৃণমূল সভাপতি শেখ শোভান আলি এবং ওই বুথেরই সম্পাদক শেখ জাকির হোসেন হাতে তুলে নিলেন লাল ঝান্ডা। বামফ্রন্ট নেতা শেখ নজরুল ইসলাম ও শেখ হাসিবুল তাঁদের হাতে সিপিএমের পতাকা তুলে দেন।
কেন তৃণমূল ত্যাগ ?
কিন্তু, কেন তৃণমূল ছাড়লেন ? দলত্যাগী বুথ সভাপতির বক্তব্য, এলাকার কিছু তৃণমূল নেতার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের বাস্তব রূপ দেওয়া যাচ্ছে না। স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না দাসপুর ২ এর অধিকাংশ নেতাই। তাঁরা দলের মধ্যে থেকে হাঁফিয়ে উঠছিলেন। তাই দলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।