করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আরও এক শিশুর মৃত্যু। এনিয়ে ৪ দিনে মৃত্যু হল ৬ শিশুর। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও মৃত্যু হয়েছে এক বালিকার। 


জলপাইগুড়ি ও পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর হাসপাতালেও জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি বেশ কয়েকজন শিশু। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি।


জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি আরও এক শিশুর মৃত্যু হল মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এনিয়ে ৪ দিনে মৃত্যু হল ৬ শিশুর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধেয় জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয় কালিয়াচকের বাসিন্দা ৫ মাসের শিশু। রাতেই মৃত্যু হয় তার। 


মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের সুপার পুরঞ্জয় সাহা বলেন, সঙ্কটজনক অবস্থায় নিয়ে আসায় চিকিৎসার সুযোগ মেলেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ  জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ১৩৫ জন শিশু ভর্তি রয়েছে। তারমধ্যে ৮ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। 


মালদার পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি ১০ বছরের এক বালিকার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে মৃত্যু হয় হেমতাবাদের ইসলামপুরের বাসিন্দা ওই বালিকার।
 
এদিকে, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসায় গঠিত হয়েছে সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে ১০২ জন শিশু এখন চিকিৎসাধীন।


উত্তরবঙ্গের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশান্তকুমার রায় বলেন, জ্বরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ৩ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা।


এদিকে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিকিৎসকদের একটি দল তৈরি করেছে জলপাইগুড়ি পুরসভাও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে,গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। পাশাপাশি, শিশুদের চিকিৎসায় আরেকটি ওয়ার্ড তৈরি হয়েছে শিলিগুড়ি জেলা হাসাপাতালে।


জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে। জ্বর-সহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৬২ শিশু। 


হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুদের চিকিৎসায় বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ থেকে ৪৫ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: শিশুদের জ্বর-শ্বাসকষ্ট তিনদিনের বেশি থাকলে ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে, গাইডলাইন প্রকাশ রাজ্যের


আরও পড়ুন: 'শুরু থেকে নজর দেওয়া উচিত ছিল', জেলায় জেলায় শিশুদের জ্বর নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ রাজ্যপালের