করুণাময় সিংহ ও অভিজিৎ চৌধুরী, হরিশ্চন্দ্রপুর : মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে বন্যাত্রাণ বিলিতে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেত্রীকে গ্রেফতারির দাবিতে পথে নামল বিজেপি (BJP)। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বদনাম করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি বলে পাল্টা দাবি করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি।


বন্যাত্রাণ বিলিতে যাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তাঁকেই ব্লকে নতুন দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল। এই অভিযোগে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। অভিযুক্ত নেত্রীকে গ্রেফতারের দাবিও তুলেছে তারা। 


কী বলছে বিজেপি ?


বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, যাঁরা প্রকৃত উপভোক্তা তাঁদের ত্রাণের টাকা না দিয়ে অন্য্যান্যদের অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই ঘটনায় যাঁরা জড়িত তাঁদের একজন জয়শ্রী কর্মকার। তাঁকেই মহিলা মোর্চার ব্লক সভানেত্রী করা হয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। এর সাথে যাঁরা যুক্ত অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত। 


আরও পড়ুন ; হরিশ্চন্দ্রপুরে বন্যাত্রাণ কেলেঙ্কারিতে এবার আত্মসমর্পণ পঞ্চায়েত সমিতির ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষের


তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেসও। হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক মুস্তাক আলম বলছেন, তৃণমূলের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সবাই দুর্নীতিতে যুক্ত। আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছি। উপযুক্ত তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা হোক। 


যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই জয়শ্রী কর্মকার হলেন তৃণমূল পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি। সম্প্রতি ব্লক স্তরে রদবদল করে তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর 1A ব্লকের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী করা হয়েছে।


২০১৭ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুরের ১ ও ২ নম্বর ব্লক। সেই সময় হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন জয়শ্রী কর্মকার। ২০১৮ সালের শেষের দিকে বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। সেই ত্রাণের টাকা নিয়েই ওঠে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। FIR-ও করেন বিডিও। 


যদিও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, BDO-র দায়ের করা FIR-এ নাম ছিল না জয়শ্রী কর্মকারের। এমনকী, এখনও পর্যন্ত তদন্তে তাঁর যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি। 


বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে, তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, বন্যাত্রাণের টাকা যখন বরাদ্দ হয় তখন তিনি সভাপতি ছিলেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁকে বদনাম করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি।