করুণাময় সিংহ, মালদা: টানা ১ ঘণ্টার বৃষ্টি (Rain), তাতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ল মালদা শহরের (Malda News) প্রাণকেন্দ্র নেতাজি পৌর মার্কেট এবং চিত্তরঞ্জন মার্কেট-সহ পোস্ট অফিস মোড়। বর্ষণের জেরে নেতাজি পৌর মার্কেট ও চিত্তরঞ্জন পৌর মার্কেটের দোকানে জলও (Waterlogging) ঢুকে যায়। মালদা ইংরেজবাজার পুরসভা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।


কী পরিস্থিতি?
নিম্নচাপের জেরে গত দু'দিন ধরে মালদা জুড়ে বৃষ্টি চলছে। গত কাল অর্থাৎ শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যায় টানা ১ ঘণ্টা বৃষ্টি চলে। তার পরেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে শহরের ২ পুরসভার মার্কেট-সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড। নেতাজি পৌর মার্কেটে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মার্কেটের মধ্যে পাম্প হাউস তৈরির জন্য ঘর বানানো হলেও এখনও পর্যন্ত সেই পাম্প হাউস তৈরি হয়নি। ফলে বৃষ্টির কারণে নেতাজি পৌর মার্কেট জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ চত্বর-সহ হাসপাতালের ভিতরেও জল ঢুকে যায়। বস্তুত, রাজ্যের একাধিক প্রান্তে কম-বেশি এক ধরনের ছবি দেখা গিয়েছে। অন্যতম বীরভূমের নলহাটি। 


আশঙ্কায় নলহাটির বাসিন্দারা...
বৃষ্টির জেরে বন্যার আশঙ্কা নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের শীতল গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামেও। স্থানীয়দের বক্তব্য, ব্রাহ্মনী নদীর জলস্তর বেড়েই চলেছে। এই ধারা বজায় থাকলে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কাও তৈরি হবে, মনে করছেন গ্রামবাসীরা। এর মধ্যে প্রসাদপুর, বেড়া, শিমুল ইত্যাদি গ্রামে ব্রাহ্মণী নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং পিএইচই দফতরের কর্মীদের শীতল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, রাত আটটা নাগাদ ব্রাহ্মনী নদীর জলস্তর বৃদ্ধির গতি বেড়ে যাওয়ার প্রসাদপুর, বেড়া, শিমুল গ্রামে নদীর জল ঢুকতে শুরু করে। প্রশাসনের তরফে গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য সরকারি  স্কুলে থাকার ব্যবস্থাও করা হয় বলে খবর। ব্লক অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এর আগে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসেই দু'দিনের টানা বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় বীরভূমের নলহাটির  দেবগ্রামঘাটের কজওয়ে। তুুমুল বর্ষণে ব্রাহ্মণী নদীরজল বাড়ছিল। তখনই প্রমাদ গোনেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাতায়াতের রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন:বিদায় চেয়েও ডিগবাজি বিজেপি-র প্রলয় পালের, জানালেন, ছাড়ছেন না রাজনীতি