অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: এলাকার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনে সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন অসংখ্য বাসিন্দা। কিন্তু বর্ষা এলেই শুরু হয় প্রবল ভোগান্তি। সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে ভয়াবহ দশা হয় হরিশ্চন্দ্রপুরের রাস্তার। কিছুক্ষণ বৃষ্টিতেই জল জমে যায় এলাকায়। সেইভাবেই যাতায়াত করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। বারবার অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।


কোন রাস্তায় ভোগান্তি:
মালদা (Malda) জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা। সেখানেই হরিশ্চন্দ্রপুর সদরের শহিদ মোড় থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা ঘিরে সমস্যা। সংস্কারের অভাবে রাস্তার বহু জায়গায় ভেঙে গিয়েছে। গোটা রাস্তা জুড়ে একাধিক ছোট-বড় নানা গর্ত। সামান্য বৃষ্টি (Rain) হলেই জমে যাচ্ছে জল। এদিকে এটাই এলাকার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা হওয়ায় তার মধ্য়ে দিয়েই যাতায়াত করছেন বহু নাগরিক।


এলাকাবাসীর অভিযোগ:
ভাঙাচোরা রাস্তায় বাইক (Motorbike) আরোহী ও টোটো চালকদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। জল জমা গর্ত না বুঝতে পারলে বাইক নিয়ে পড়তে হচ্ছে রাস্তায়। মাঝে মাঝে টোটো উল্টে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।


শুরু রাজনৈতিক তরজা:
বেহাল রাস্তা ঘিরে শুরু হয়েছে চাপানউতোরও। বিজেপির (BJP) অভিযোগ হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকা থেকে শাসকদল তেমন ভোট না পাওয়ায় এই এলাকায় কোনও কাজ হচ্ছে না। বহুবার এই রাস্তা সংস্কারের কথা বললেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। রাস্তা সংস্কার না হলে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূলের (TMC) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু হবে। বিজেপির আন্দোলন করার দরকার নেই।

অন্যত্রও একই সমস্যা:
শুধু হরিশ্চন্দ্রপুর নয়, মালদার অন্য জায়গাতেও এক সমস্যা রয়েছে। মালতীপুরেও একই অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবারই সেখানে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। ভাঙাচোরা রাস্তায় যাতায়াত করতে প্রবল ভোগান্তির অভিযোগ তুলে সেই রাস্তার গর্তের জমা জলে মাছ ছেড়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। প্রায় একইরকম অভিযোগ ছিল সেখানেও। দীর্ঘদিন বলার পরেও সেখানে রাস্তা ঠিক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যার ফলে মালতীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চিলা পাড়া ও লালগঞ্জ গ্রামের শতাধিক বাসিন্দারা সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন: আমাদের ছাত্রছাত্রীরা কালীঘাট থেকে নবান্ন পর্যন্ত জিভ বের করে দাঁড়িয়ে থাকবে : বিমান বসু