অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের (Laborer)। পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ পরিবারের। রবিবার রাতে মৃতদেহ ফেরত আসে মালদা (malda) জেলার পুখুরিয়া থানার শিমলা এলাকায়। মৃতদেহ নিয়ে আসার সময় বেশকিছু নথিপত্র নিয়ে চম্পট দেয় দুইজন বলেও অভিযোগ পরিবারের। গত কয়েক মাস আগে শ্রমিকের কাজ করতে গুজরাটে (gujrat) গিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক মতিউর রহমান। চলতি মাসের ৩ তারিখ তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ কোম্পানির লোক তাদের জানিয়েছে হার্ট অ্যাটাক করে মারা গিয়েছে মতিউর রহমান। ময়নাতদন্তের পর রবিবার রাতে সেই দেহ পাঠানো হয় বাড়িতে। মতিউর রহমানের সঙ্গে যারা কাজ করতেন তাদের কথায় অসঙ্গতি পেয়ে তারা অভিযোগ তোলেন ভিন রাজ্যে পরিকল্পিত খুন করা হয়েছে মতিউর রহমানকে। প্রশাসনের কাছে তাঁরা সঠিক তদন্তের দাবি তোলেন। পুখুরিয়া থানার পুলিশ তদন্ত নেমে পলাতক দুই যুবকের বাড়িতে হানা দিয়ে একজনের বাবাকে আটক করে। দুজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।


এদিকে, গতকাল রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া দমদমের ইস্ট মল রোডে। দিদির পচাগলা দেহ আগলে বসে রইলেন ভাই-বোন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মায়ের মৃত্যুর পর ভাই ভাস্কর ও বোন রাখির সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন ৫৬ বছরের সুপ্রিয়া ঘোষ। পরিবারের সদস্যদের মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে প্রতিবেশীদের দাবি। গতকাল বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে বাগুইআটি থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মহিলার কম্বল জড়ানো পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। চারদিন আগে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। 


গত মাসে গড়ফাতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। ৩ মাস ধরে বাবার মৃতদেহ আগলেছিলেন ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, গৃহকর্তা বছর সত্তরের সংগ্রাম দে-কে কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে না বলে গড়ফা থানায় জানান প্রতিবেশীরা। কে পি রায় লেনের বাড়িতে গিয়ে গৃহকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, সংগ্রাম দে সল্টলেকে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের অফিসে কাজ করতেন। বাড়িতে থাকতেন তাঁর পক্ষাঘাতে আক্রান্ত স্ত্রী ও ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, ছেলের দাবি, ৩ মাস আগে বাবা মারা গেছেন। তিনি বেঁচে উঠবেন ভেবে বাড়িতেই মৃতদেহ রেখে দেন। 


আরও পড়ুন: পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তুঙ্গে তরজা, সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ট্যুইটে সরব রাজ্যপাল