করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Malda Medical College Hospital) মেঝেতে বসে রয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত কমলি সোরেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ছবি। বিষয়টি জানাজানি হতে নড়ে চড়ে বসল মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি ফিমেল মেডিকেল ওয়ার্ড থেকে এইচডিওতে রেফার করা হল তাকে। আর এই নিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজের  অব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। 'ঘটনাটি অমানবিক, তবে চিকিৎসায় কোন সমস্যা হবে না', দাবি তৃণমূলের (TMC)।


কেন হাসপাতালের মেঝেতে ঠাঁই 'পদ্মশ্রী' পুরস্কার জয়ীর ?


গতকাল রাতে জ্বর নিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন মালদার গাজলের বাসিন্দা পদ্মশ্রী কমলি সোরেন। কিন্তু বেড না মেলায় মেঝেতে বসে থাকতে হয় তাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হয়। আর জানিয়ে কার্যত একযোগে মেডিকেল কলেজকে দুষছে বিজেপি ও তৃণমূল। মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'পর্যাপ্ত বেড না থাকার কারণে এই সমস্যা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই তাঁকে এইচডিওতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।' 


কে এই কমলি সোরেন ? কবে পেয়েছিলেন 'পদ্মশ্রী' ?


উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সমাজসেবার জন্য পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন কমলি সোরেন। মূলত গাজোলে একটি আশ্রম রয়েছে তাঁর। বহু মানুষ তার দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। আর সমাজের এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ জনকেই কিনা ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হল ? প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যে গুঞ্জন চারিদিকে। প্রথমত এই পুরস্কার যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক দেওয়া হয়ে থাকে, তাই এই প্রসঙ্গের প্রভাব গিয়ে পড়েছে রাজনীতিতেও। একেই কেন্দ্র ও রাজ্য নিয়ে অন্তদ্বন্দ্বের শেষ নেই। বছর বছর বিজেপি বিরোধী রাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক নের্তৃত্ব কেন্দ্রের সম্মান গ্রহণ করতে ইচ্ছুক থাকেন না। তার উপর এই সম্মান প্রাপ্ত ব্যাক্তিত্বের উপর এই ইস্যু ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে।


আরও পড়ুন, 'আরও অনেক কাকু-কাকিমা, ভাইপো-পিসির নাম আসবে', বললেন সুকান্ত


কেন এমন হচ্ছে বারবার ?


প্রসঙ্গত, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যা কম থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই বাধ্য হয়ে নিচে তোষক পাতিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। যদিও বেডের অভাব থাকলেও গত কয়েকবছর রাজ্যের সরকার হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো নিয়ে আগের থেকে সক্রিয় স্বাস্থ্য দফতর। তবে এক্ষেত্রে কীকরে এমন ঘটনা ঘটল, কিংবা যদি মেঝেতে বসা ওই রোগী যদি পদ্মশ্রী না হতেন, তাহলে কি প্রকাশ্যে আসত না এই সমস্যা, এনিয়ে একাধিক চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে।