মালদা: গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হতে ১০ লক্ষ টাকা? ভাইরাল ভিডিওয় তোলপাড়। গয়েশবাড়ির তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির হাতে বান্ডিল বান্ডিল নোট! তৃণমূল নেতার (TMC Leader) হাতে বান্ডিল বান্ডিল নোটের ভাইরাল ছবি (Viral) ঘিরে তোলপাড়। 


টাকা নিয়েও পদ না পাওয়ার অভিযোগ তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যের


'গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন অঞ্চল সভাপতি', টাকা নিয়েও পদ না পাওয়ার অভিযোগ তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যের। দলেরই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যের। কালিয়াচকে ১ নম্বর ব্লকের গয়েশবাড়ি অঞ্চলের সভাপতি মিরাজুল বসনি। মিথ্যে বলছে, সুদে ধার নেওয়ার টাকা, পাল্টা দাবি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার। 'রাগের বশে মিথ্যে বলছে, আমার কাছে এসে ক্ষমা চাইবে', দাবি তৃণমূল নেতার।


দলীয় পদ বা টিকিট পাইয়ে দিতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়


রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে ভোটে দলীয় টিকিট পাইয়ে দিতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। সেই তালিকায় শাসক ও বিরোধীদলের একাধিকবার নাম জড়িয়েছে। সেটা শুধু পঞ্চায়েত ভোট নয়, একুশের বিধানসভা ভোট-সহ একাধিক নির্বাচনে। এবং এই ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসতেই দলেরই শীর্ষনেতাদের তরফে কড়া বার্তা এসেছিল। ধরা পড়লে কঠোর ব্যবস্থা বা বহিঃষ্কার করতেও পিছুপা হবে না এমনও হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। 


আদৌ এই অভিযোগ সত্যি কিনা, তা সময় বলবে


যদিও তারপরেও আড়ালে আবডালের সেই ঘটনা সামনে আসতেই অস্বস্তির মুখে পড়েছে বারবার দল। তবে মালদার কালিয়াচকের এই ঘটনা অভিযুক্ত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির হাতে ওই বান্ডিল বান্ডিল টাকা নেওয়া ছবির পিছনে অন্য কোনও সত্য লুকিয়ে আছে কিনা, তেমন কোনও দাবি এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। আদৌ এই অভিযোগ সত্যি কিনা, তা সময় বলবে।


আরও পড়ুন, পঞ্চায়েতে জয়ী Congress প্রার্থীর ছেলে 'খুন', ফের রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ


 মে মাসেও এমনই এক অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে


প্রসঙ্গত, প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও, মে মাসেও এমনই এক অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। সরকারি চিকিৎসককে বদলির জন্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের (TMC) চিকিৎসক সংগঠনের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও ডিজিকে চিঠি পাঠিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ও আইএমএ-র রাজ্যশাখার সম্পাদক শান্তনু সেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনের নেতা।  পাল্টা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্ব খাড়া করে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত চিকিৎসক।