করুণাময় সিংহ, মালদা: বন্দুক হাতে দফতরে বসলেন নেত্রী, যে দৃশ্য রীতিমত বুকে কাঁপন ধরায়। নিজের দফতরে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বসে রয়েছেন মালদার তৃণমূল নেত্রী। এই ঘটনায় বিতর্কে জড়ালেন ওল্ড মালদার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি।  


নিজের দফতরে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে বসে আছেন, তাঁর এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা এবিপি আনন্দ যাচাই করেনি। মালদা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৃণালিনীর এই ভাইরাল ভিডিও নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।  তাদের অভিযোগ, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।


এর আগে, বিডিও অফিসের মধ্যে সরকারি কর্মীকে মারধর থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগ উঠেছে এই নেত্রীর স্বামীর বিরুদ্ধে। এবারে সরকারি অফিসের মধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তাঁর ছবি ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে। জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, ১১ বছরে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি মালদাকেও বারুদের স্তূপে দাঁড় করিয়েছে শাসক দল। ওদের অফিসে এটাই কালচার। পিস্তল আছে, খুঁজলে বোমাও পাওয়া যাবে, খুঁজলে এ কে ফরটিসেভেন পাওয়া যেতে পারে। এটা ওদের কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাকরি চলে যাবে ভয়ে পুলিশ প্রশাসন চুপচাপ আছে, এমন সুরেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপি জেলা সভাপতির।


আরও পড়ুন, বোলপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে চপ, মুড়ি তুলে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল


অভিযুক্তর দাবি, ওটি খেলনা আগ্নেয়াস্ত্র। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর দাবি, প্রাথমিকভাবে আগ্নেয়াস্ত্রটি আসল বলে মনে হচ্ছে। তবে তা খেলনা না আসল আগ্নেয়াস্ত্র, তা পুলিশ দেখবে। সেইসঙ্গেই তিনি জানান, যদি সরকারি দফতরে এই ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তা কাম্য নয়।  যদিও এই বিষয়ে বারবার মৃণালিনী মন্ডল মাইতিকে ফোন করা হলেও তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


এদিকে, প্রশাসনিক বৈঠক করতে মালদায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্টেশন থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে যান পুরোনো মালদার মঙ্গলবাড়িতে থাকা সেচ দফতরের অতিথিশালা মহানন্দা ভবনে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য এদিন স্টেশন থেকে মহানন্দা ভবন পর্যন্ত  জাতীয় সড়ক মুড়ে ফেলা হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তায় ৷