করুণাময় সিংহ, মালদা: কাজ না করলে দলে জায়গা নেই, দলীয় কর্মীদের একাংশকে কড়া বার্তা মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির। রতুয়ার সামসিতে দলীয় কর্মীসভায় তিনি বলেন, 'যদি দেখা যায় কোনও অঞ্চল কমিটির সভাপতি বা চেয়ারম্যান সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন না, তা হলে সেই সভাপতি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ব্লক সভাপতিরা বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে ঠিক করবেন, নির্বাচনের আগে এই সব সভাপতিদেরকে রাখা যাবে কিনা।'


পচা আলুর সঙ্গে তুলনা...
'আপনি এক বস্তা আলু বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন, কিন্তু তার মধ্যে কখন দুটো পচা আলু পৌঁছে গিয়েছিল খেয়াল করেননি। মায়া করছেন গৃহিণী। পচা আলু কেটে যদি কিছু পাওয়া যায়, থাক। চার দিন পর গৃহিণী যখন বস্তা খুলে দেখছেন তখন দেখতে পাচ্ছেন যে ওই দুটো আলু অর্ধেক বস্তা আলু পচিয়ে দিয়েছে। গৃহিনী যদি এই দুটো আলো বের করে দিতেন তাহলে বস্তার অর্ধেক আলু পচত না', বলেন আব্দুর। তাঁর কথায়, 'যাঁরা কাজ করছেন না, তাঁদের নাম কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দিন। অলস মানুষের জায়গা তৃণমূল নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭০ বছর বয়সে দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত, রাজ্যের এই জেলা থেকে ও জেলা ঘুরে বেড়াতে পারেন, তা হলে আপনি কেন বুথে বুথে ঘুরে বেড়াতে পারবেন না?' মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতির কথায়, এরকম করলে সেই অঞ্চল কমিটিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি  থাকতে পারবেন না। বিষয়টি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে আব্দুর রহিম বক্সি বলেন , 'আমরা কিছু মানুষকে লক্ষ্য করছি দলে থেকে দলের কাজ করছেন না। তাঁদের উদ্দেশে এই কথাগুলো বলেছি।'      যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতির বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, 'নিচু তলার কর্মীদেরকে তৃণমূল গুরুত্ব দেয় না। প্রয়োজন ফুরোলে ছুড়ে ফেলে দেয়। তৃণমূল জেলা সভাপতির বক্তব্য তার প্রমাণ। তাই যারা, একনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী, তাঁরা তৃণমূল করবেন কিনা সে নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।' প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে নদিয়ার মতুয়া গড়ে জনসভা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যোগ্য প্রার্থী মনে করলে, যে কারও নাম ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ নম্বরে ফোন করে জানান’। পঞ্চায়েত ভোটের  আগে নদীয়ার সভা থেকে বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তায় অন্য ইঙ্গিত পেয়েছিলেন অনেকেই। 


আরও পড়ুন:'আমাকে আক্রমণ করা মানেই কেন্দ্রকে আক্রমণ', সুর চড়়ালেন নিশীথ