করুণাময় সিংহ, মালদা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার যাত্রার আগে মালদার (Malda) রতুয়ায় (Ratua) ফের ভাঙন তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC)। প্রদীপ সাহার পর এবার রতুয়ায় তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন জেলা তৃণমূল নেতা তথা রতুয়া এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর স্বামী মোহাম্মদ হেসামুদ্দিন।


কী ঘটল?
এদিন হেসামুদ্দিনের সঙ্গে প্রায় তিনশোরও বেশি তৃণমূল কর্মী দল ছাড়েন, যোগ দেন কংগ্রেসে। দুর্নীতির প্রতিবাদেই এই দলত্যাগ, মত সদ্য কংগ্রেসের যোগ দেওয়া তৃণমূল নেতা মহম্মদ হেসামুদ্দিনের। কংগ্রেস নেতা তথা সুজাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরীর ব্যাখ্যা, মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। তাই তৃণমূল ছাড়ছেন। তবে দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়। আর তাতে সব হিসেব-নিকেশ উল্টে দেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। জোড়াফুল আর পদ্মের দাপাদাপির মাঝে পিষে যেতে যেতে জেতেন তিনি। জোটের শর্ত মেনে তাঁকে পিছন থেকে সমর্থন জোগান বামেরা। আর তাতেই বছর দুয়েক আগে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতে আসা তৃণমূলকে ধরাশায়ী করেন বায়রন। ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে সাগরদিঘিতে জিতে বিধানসভায় আসেন তিনি। 
তবে সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও বিধায়ক হিসেবে শপথ নিতে পারেননি জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী। কেন দেরি? জানতে বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করেন বায়রন বিশ্বাস। রাজ্যপাল দিন ঠিক করবেন। জানান অধ্যক্ষ এবং পরিষদীয় মন্ত্রী। সাধারণত বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন, জয়ী প্রার্থীদের শপথের আয়োজন করা হয়। বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলার মধ্যেও বায়রন বিশ্বাসের শপথ হচ্ছে না কেন, এই প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। অবশেষে মার্চের ২২ তারিখ শপথ নেন সাগরিদিঘির বিধায়ক। 
তবে এই ফলাফলের পর বদলে যায় অনেক কিছু। জেলা তো বটেই, রাজ্য রাজনীতিতেও নয়া সমীকরণের সম্ভাবনা উঠে আসে। জেলায় কংগ্রেসের ক্ষমতাবৃদ্ধির হদিশ মেলে। মার্চেই তৃণমূল এবং বিজেপি ছেড়ে দলে দলে লোকজন যোগ দেন হাত-শিবিরে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী খোদ সেই যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন। যদিও দলে ভাঙনের খবর অস্বীকার করেছে তৃণমূল-বিজেপি দুই দল। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ঘটনা। সব মিলিয়ে এ দিন ১৫৭০ জন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কংগ্রেসে যোগ দেন। অধীরের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন তাঁরা। আগামী দিনে আরও মানুষ জন কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলে দাবি জেলা নেতৃত্বের। তৃণমূল-বিজেপি কোনও তরফই বিষয়টিকে আমল দিতে চায়নি। এবার ঘটনা মালদার রতুয়ায়।


আরও পড়ুয়া:শরীরচর্চার পরেই অ্যাসিডিটি হচ্ছে? এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে?