অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: গিয়েছিল বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে (marriage ceremony)। আনন্দে মজায় দিন কাটানোর বদলে জীবনে নেমে এল ঘন অন্ধকার। নদীর জলে ডুবে মৃত্যু হল এত কিশোরের (young boy death)। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) পুখুরিয়া থানার চাঁদপুর অঞ্চলে।
বিয়েবাড়িতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি
বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়ে নদীর জলে ডুবে মৃত্যু হল এক কিশোরের। শনিবার পুখুরিয়া থানার চাঁদপুরে ঘটনাটি ঘটে। স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃতের নাম আরিফ হোসেন। বয়স মাত্র ১০।
মৃতের বাড়ি রতুয়া থানার শ্রীপুর এলাকায়। গতকাল সে চাঁদপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসে। জানা যাচ্ছে, সমবয়সীদের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে গেলে নিখোঁজ হয়ে যায়। খুদেকে খুঁজতে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাঁদের দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটিকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হারিয়ে গেল দুটি তাজা প্রাণ
গতকাল মহেশতলায় আকড়া স্টেশনে বন্ধুকে ছাড়তে এসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দুই যুবকের। অন্যমনস্কভাবে রেললাইন পারাপারের সময় ঘটে এই দুর্ঘটনা। মৃত দুই যুবক কর্মসূত্রে একই কোম্পানিতে চাকরি করেন।
আরও পড়ুন: Nadia News: পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে আনুমানিক সাড়ে ৯টা নাগাদ অফিসের কোনও টাকা দেওয়ার জন্য এক বন্ধু অপর বন্ধুর কাছে আসে। নোদাখালি থানার বাখরাহাটের বাসিন্দা বছর চল্লিশের সুরজিৎ ভৌমিক, আকড়ার জগন্নাথ নগরের বাসিন্দা পঁচিশ বছর বয়সী শিভম সর্দারের কাছে এসেছিল। কাজ শেষে বন্ধুকে আকড়া স্টেশনে ছাড়তে যাচ্ছিল শিভম। ঠিক সেই সময় আপ ও ডাউন দুই লাইনে দুটি ট্রেন একই সঙ্গে চলে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, নিয়ম অনুযায়ী দুটি ট্রেন ক্রস করার সময় ট্রেনের সামনে থাকা আলো নিভিয়ে একে অপরকে যাতায়াতের সুবিধা করে দেয়। আর এই আলো নিভিয়ে দেওয়ার দরুন কোনও ট্রেন আসছে কিনা তা বুঝতে পারেনি ওই দুই যুবক। তাতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন।