কলকাতা: 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' নামে নতুন কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'দিদিকে বলো'-র পর এবার 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী'র উদ্বোধন। মমতা বলেন,' আজ এই কর্মসূচি চালু করলাম। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সকলে যাতে উপকৃত হয় এবং এই পরিষেবা যাতে প্রান্তিক এলাকাতেও পৌঁছে যায়', তা নিয়ে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

  


'আপনারা, আমার থেকে মাত্র একটি ফোনের দূরত্বে'


ফেসবুক পেজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এই নয়া কর্মসূচির  ছবি পোস্ট করেছেন। 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' পরিষেবা পেতে কোন নাম্বারে ফোন করতে হবে তাও জানিয়েছেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, 'আজ আমার প্রিয় বাংলা এবং প্রাণাধিক প্রিয় বঙ্গবাসীর জন্য একটি অবিস্মরণীয় দিন।আজ এক বিশেষ কর্মসূচির ঘোষণা করলাম। যার মাধ্যমে আমার রাজ্যবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহ হয়ে উঠল। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী নামক এই কর্মসূচির মাধ্যমে আপনারা, আমার থেকে মাত্র একটি ফোনের দূরত্বে।'


'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী', কীভাবে যোগাযোগ করবেন ? কখন যোগাযোগ করবেন ?


এরপরেই ফোন নাম্বার শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৯১৩৭০-৯১৩৭০, এই নাম্বারে আপনার ফোন করে আপনাদের যাবতীয়, অভাব অভিযোগ মতামত জানাতে পারবেন। সপ্তাহের সোমবার থেকে শনিবার, মোট ৬ দিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত, এই লাইন খোলা থাকবে। আপনাদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে, আমি বদ্ধপরিকর।আমি আশাবাদী এই উদ্যোগের ফলে,  রাজ্যবাসীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক আরও গাঢ় হল।'



কেষ্টপুর সেতু ২ উদ্বোধন করেন মমতা


মূলত এদিন নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি কেষ্টপুর সেতু ২ উদ্বোধন করেন মমতা। পোস্টের শুরুতেই তিনি বলেন, 'আজকে এই বিশেষ দিনে আমি নবান্নর সভাঘর থেকে, কেষ্টপুর সেতু ২ উদ্বোধন করলাম।যা সল্টলেক এবং নিউটাউনের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করবে।'


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ঝাডগ্রামে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচিতে গিয়ে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। বিনপুর ১ নম্বর ব্লকের বাঁদরবনি এলাকায় যান ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর অনুগামী হিসেবে পরিচিত বিনপুর ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি শেখ নাসিরুদ্দিন। অভিযোগ, বিধায়কের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শ্যামল মাহাতোর অনুগামীরা। যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজ ও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলেন দলীয় কর্মীদের একাংশ। বিক্ষোভের মুখে পড়ে কর্মসূচি বাতিল করে ওই এলাকা থেকে ফিরে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক।