মোহন দাস, হুগলি : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) জন্য তৃণমূল প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটাভুটিতে ফের কারচুপির অভিযোগ উঠল। আরামবাগে অঞ্চল সভাপতির উপস্থিতিতে ব্যালট পেপারের ফটোকপি বক্সে ফেলার পাশাপাশি সবাইকে দেখিয়ে গোপন ব্যালটে ভোট দিতে হয় বলে অভিযোগ। ভোটে লুঠের ট্রেনিং চলছে বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাবি তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের।
কখনও ছিঁড়ে দেওয়া হয় ব্য়ালট পেপার। কখনও ওঠে ব্যালট পেপার লুঠের অভিযোগ। কখনও আবার অভিযোগ উঠেছে ছাপ্পা ভোটের। তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই ঘিরে গোপন ভোটাভুটিতে বিশৃঙ্খলা যেন থামতেই চাইছে না। এবার ঘটনাস্থল হুগলির আরামবাগ। মঙ্গলবার রাতে সেখানে হরিণখোলা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটাভুটি চলছিল। অভিযোগ সেই সময় অঞ্চল সভাপতির উপস্থিতিতে ব্যালট পেপারের ফটোকপি পূরণ করিয়ে বক্স ফেলা হচ্ছিল। দেখতে পেয়ে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানান ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থার মহিলা কর্মী। এরপর কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে ভোটগ্রহণ। যদিও এতে দলের অন্দরেই চক্রান্ত দেখছেন অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি। অন্যদিকে, পুরশুড়া ব্লকের তাঁবুতে সবাইকে দেখিয়ে গোপন ব্যালটে ভোট দিতে হয় বলেও অভিযোগ ওঠে ।
যে ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। আরামবাগের বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগ বলেছেন, 'তৃণমূল দলটাই চোরের। ভোটের সময় কীভাবে চুরি করে ভোট করবে তার ট্রেনিং।' পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'ভোটাভুটিতে গন্ডগোল হলে তা বাতিল করা হচ্ছে। এতবড় কর্মসূচিতে এমন ঘটনা ছোটখাটো ব্যাপার। কোথাও এরকম ঘটে থাকলে সেখানে পুনরায় ভোট নেওয়া হবে'।
আরও পড়ুন- রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সরিয়ে মোদিকে উপহার পাঠালেন মমতা, বাংলার আম গেল রাষ্ট্রপতির কাছেও
জেলা পরিষদ থেকে পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েতে কাকে প্রার্থী করতে চান, তা জানাতে গোপন ব্য়ালটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ভোট যদি দেখিয়েই দিতে হয় তাহলে আর গোপন ব্যালেটের প্রয়োজন কী ? উঠছে প্রশ্ন।