করুণাময় সিংহ, মালদা: একই দিনে প্রায় একই সময়ে একই জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গাঁধী  দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে মালদায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ লাইন মাঠের হেলিপ্যাডে নেমে ইংরেজবাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার পদযাত্রা করেন। আর সেই সময়ই এক বৃদ্ধর জন্য রোড শো থামালেন মুখ্যমন্ত্রী।


ঠিক কী ঘটেছে? 


মালদায় পদযাত্রার সময় রাস্তার পাশে হুইলচেয়ারে বৃদ্ধকে দেখে রোড শো থামিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নিজেই ওই বৃদ্ধকে বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর চিকিৎসার জন্য তৎপর হন জেলাশাসক,  পুলিশ সুপার সহ পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রীর এমন সহৃদয়তায় অত্যন্ত খুশি রোগীর পরিবার।


বীরা প্রসাদ নামে ৮৪ বছর বয়সের ওই বৃদ্ধর চিকিৎসা শুরু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে। গাজোলের এই বয়স্ক রোগী ভর্তি রয়েছেন সিসিইউতে। হৃদরোগ এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে ওই ব্যক্তির। গাজোলের সদরঘাট এলাকার বাসিন্দা ওই প্রবীণ ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, চিকিৎসাজনিত কারণে এদিন সকালে মালদা শহরে আসেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পথে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী রোড শো করার সময় হুইলচেয়ারে ওই বৃদ্ধকে দেখতে পান মুখ্যমন্ত্রী। সে সময় শ্বাসকষ্ট জনিতকারণে রীতিমতো অসুস্থ ওই ব্যক্তি। বিষয়টি নজরে পড়তেই সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হন মুখ্যমন্ত্রী। 


নিজেই রাস্তার পাশ থেকে তাঁকে ডেকে নিয়ে দ্রুত নিকটবর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। কিছু সময়ের জন্য কার্যত রোড শো বন্ধ থাকে। ওই রোগী ভর্তি হওয়ার পর ফের রোড শো শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী।


মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধের পরিবার। অন্যদিকে, ওই বৃদ্ধের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ইকবাল হোসেন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আজ যা করলেন একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি অনুপ্রাণিত। 


অন্যদিকে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে এক্স রে পরিষেবা পেলেন না খোদ মন্ত্রী! মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে পায়ের চোট দেখাতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এই ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি। আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।                                                        


আরও পড়ুন, প্রশ্নপত্রে লুকনো 'কোড', ছবি তুললেই চেনা যাবে পরীক্ষার্থী