কলকাতা: এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আইনি নোটিস পাঠালেন কার্তিক মহারাজ। ৪ দিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি কার্তিক মহারাজের। 


কী বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? 


শনিবার গোঘাটের জনসভায় বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে সাধু-সন্তদের একাংশকেও নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রীতিমতো নাম নিয়ে সমালোচনা করেন, ভারত সেবাশ্রম, রামকৃষ্ণ মিশন, ইস্কনের সাধু-সন্নাস্যীদের একাংশের। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলনেত্রী বলেন, "এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন, আমি শুনেছি অনেকদিন ধরে কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি আগে খুব শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু, যে লোকটা বলে আমি তৃণমূল কংগ্রেসকে এজেন্ট বসতে দেব না, সে লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ তিনি সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছেন। আসানসোলে একটা রামকৃষ্ণ মিশন আছে। আমি রামকৃষ্ণ মিশনকে কী সাহায্য করিনি? সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল, আপনাদের অস্তিত্ব নিয়ে, স্বাধিকার নিয়ে তখন কিন্তু আমি পুরো সমর্থন দিয়েছিলাম।ইস্কনও মনে রাখবেন ৭০০ একর জমি দিয়েছি।''


 



গতকালই কার্তিক মহারাজ বলেন, "একটা জায়গায় প্রমাণ দেখাতে যদি পারেন, তাহলে আমি আমার সমস্ত সন্ন্য়াস জীবনের আমি ত্যাগ করতে পারি। একটা জায়গায় যদি আমি বুথ থেকে টিএমসির কর্মীকে আমি হঠিয়ে দিই, আমি এমন কোনও ডন নই, এমন কোনও মস্তান নই, এমন কোনও আমার সঙ্গে লোক নেই, যে আমি টিএমসির এজেন্টকে বসতে দেব না বললেই...আমি চ্যালেঞ্জ করলাম মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রচণ্ড মিথ্য়া কথা বলেছেন। তাঁকে চ্য়ালেঞ্জ করছি। ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিবাদ হবে।'' আর এবার আইনি নোটিস পাঠালেন তিনি। যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, 'মমতার মন্তব্যে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সম্মানহানি হয়েছে। বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে' ৪ দিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবেও বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কার্তিক মহারাজ। 


মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে যখন রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, ইসকনের একাংশকে নিশানা করেছেন, তাঁর সেই বিতর্কিত বক্তব্যকেই হাতিয়ার করেন নরেন্দ্র মোদি। গতকাল নির্বাচনী প্রচার থেকে মোদি বলেন, "এখন তৃণমূল মানুষ সেবায় নিয়োজিত সন্তসমাজকে গালাগালি দিচ্ছে। ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সেবাকর্মের বিষয়ে বিশ্ব পরিচিত। কিন্তু এখানকার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, আমাদের এই সাধু, এই সংগঠন, দেশের ক্ষতি করছে! হিন্দুদের ভাগীরথীতে ডুবিয়ে দেওয়ার মতো বক্তব্য, এটাও তৃণমূল ভেবেচিন্তে বলিয়েছে। ভোটব্যাঙ্কের চাপে তৃণমূল লাগাতার সাধুদের অপমান করছে। বাংলার সংস্কৃতিতে অপমান করছে।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'সব সাধু তো সমান নয়', মমতার নিশানায় মিশন-আশ্রমের সন্ন্যাসীরা