কলকাতা: পুজোকে ঘিরে বাংলার অর্থনীতি চাঙ্গা বলে এর আগে জানিয়েছিলেন তাঁর মন্ত্রী। এ বার পুজোর মরসুমে বিপুল বিক্রিবাটা হয়েছে বলে জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। এ বছর পুজোর মরসুমে ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে বলে জানালেন তিনি। একই সঙ্গে ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনারও জবাব দিলেন (Club Sonations)।
দুর্গাপুজোয় ৫০ হাজার কোটি আয়, জানালেন মমতা
বৃহস্পতিবার উত্তীর্ণয় বিজয়া সম্মিলনীতে অংশ নেন মমতা (Durga Puja)। সেখানেই পুজোর অর্থনীতি নিয়ে মুখ খোলেন তিনি (Puja Econnomy)। বলেন, "এ বছর পুজোকে কেন্দ্র করে ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। ক্লাবকে কেন টাকা দিলে জিজ্ঞেস করেন যাঁরা, তাঁরা কি জিজ্ঞেস করেন, ফুচকাওয়ালার ফুচকা কেমন খেলে, ঝালমুড়ি কেমন কেমন খেলে, অথবা রোলটা কেমন খেলে? সারারাত ঘুরে বেড়ানোর সময় টুকটাক খাবার যদি না থাকে, জিনিস না কেনা হয়...পুজোর সময় সবচেয়ে বেশি লাভ হয় গরিব মানুষের। কত কাজের সুযোগ তৈরি হয়। ঢাকিরা বলুন, কত ঢাক আসে। আজকাল মেয়েরাও ঢাক বাজাচ্ছে, ধামসা হাজাচ্ছে। উদের সময়ও আলোর সাজ হয় আজকাল। বড়দিবের অনুষ্ঠানেও উৎসব হয়। আদিবাসীদের উৎসব হয়।"
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: চারটি বাইক নিয়ে, পুলিশ ঠেঙিয়ে আন্দোলন হয়না, নাম না করে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ মমতার
এর আগে, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও পুজোর মরসুমে বাংলার অর্থনীতি চাঙ্গা বলে দাবি করেছিলেন। দুর্গাদুর্গাপুজো" data-type="interlinkingkeywords">পুজো এবং অর্থনীতির সংযোগ তুলে ধরে বলেন, "পুজোকে ঘিরে আর্থিক উন্নতির জোয়ার আসছে পশ্চিমবঙ্গে। এ বছর পুজোকে কেন্দ্র করে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে যা বেড়ে হবে ১ লক্ষ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৫০ হাজার কোটি টাকা আসবে পর্যটনের হাত ধরেই।"
ফিরহাদ জানিয়েছিলেন, দেশের অন্য রাজ্য তো বটেই, বিদেশ থেকেও পর্যটকরা কলকাতায় এসেছেন। আগামী দিনে পুজোর সময় পর্যটকদের আগমন আরও বাড়বে। আগের বছর পর্যন্ত পুজোর অর্থনীতি ছিল ৪০ হাজার কোটি টাকা। এ বছর তা ৫০ হাজার কোটি পেরিয়ে গিয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে তা বেড়ে ১ লক্ষ কোটি টাকা হবে। জামা-কাপড়-সহ জিনিসপত্রের কেনাবেচা, হোটেল-রেস্তরাঁয় খাওয়া-দাওয়া এবং পর্যটন থেকে আসবে।
আগামী দিনে পুজোকে ঘিরে ব্যবসা আরও বাড়বে বলে মত ফিরহাদের
ধর্ম যার যার, উৎসব সবার বলেও এ দিন মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, "হাজার ধর্ম, হাজার জাত, হাজার রকমের মানুষজন। সকলের মধ্যে একটাই মিল, মানবতা। মাবতাই সবচেয় বড় ধর্ম, সম্মান।" বাংলায় বসবাসকারী সকলে বাঙালি নন, সকলের মাতৃভাষাও বাংলা নয়, তা সত্ত্বেও বিহারি,গুজরাতি, রাজস্থানিরা বাংলাকে কম ভালবাসেন না বলেও জানান মমতা। বাংলায় সকলে মুক্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি।