কলকাতা:  অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব শুধু প্রকাশ্যেই আসেনি, তা নিয়ে বিস্তর কাদা ছোড়াছুডি়ও হয়েছে। সেই নিয়ে এ বার আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে (Aparupa Poddar) সতর্ক করে দিলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সাফ জানিয়ে দেন, সকলকে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। অন্যথায় কড়া ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না দল।


বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠক ছিল। সেখানেই প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। জানিয়ে দেন, প্রকাশ্যে কোনও রকম বিবৃতি দেওয়া চলবে না। অপরূপা-সহ দলের বাকি নেতাদের উদ্দেশেও মমতা জানিয়ে দেন, প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে কোনও রকম বিবৃতি দেওয়া চলবে না। মমতা বলেন, ‘‘দিল্লিতে সংসদের সেন্ট্রাল হলে বসে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন অনেকে। প্রকাশ্যে দলের সমালোচনা করছেন। এই ধরনের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। যা বলার দলের ভিতরেই বলতে হবে। এ ভাবে চলতে থাকলে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য কড়া ব্যবস্থা নেবে দল।’’


করোনায় রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পুরভোট নিয়ে যখন হাই কোর্টে মামলা চলছে, সেই সময় তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। মমতা ছাড়া কাউকে নেতা বলে মানেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee on TMC : 'ব্যথা-বেদনা থাকলে জানাতে পারেন, অনেক চাপ, তবে সংগঠন নিজেই দেখব', বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর


সেই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, অপরূপারা একযোগে কল্যাণকে আক্রমণ করতে নেমে পড়েন। তাতেই প্রকাশ্যে মুখ্য সচেতকের পদ থেকে কল্যাণের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি। এমনকি কল্যাণকে ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’ বলে আক্রমণ করেন।


সেই সময়ই কুণাল, অপরূপাদের সংযত হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যত অসন্তোষ রয়েছে, যা বক্তব্য রয়েছে, সব দলের অন্দরেই জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন। অন্যথায় কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন পার্থ। তার পরেও বাক্যবাণ যদিও থামেনি। কল্যাণও লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন। এত দিন এই বিতর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য না করলেও, এ দিন সকলকেই সংযত হওয়ার নির্দেশ দিলেন মমতা।