ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: প্রসূতি মৃত্যুকে (maternity death) কেন্দ্র করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে (m r bangur) উত্তেজনা। চিকিৎসায় গাফিলতির (medical negligence) অভিযোগ উঠল হাসপাতালের (hospital)বিরুদ্ধে। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হন মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ২৭ বছরের নবনীতা দাস। ৭ জুলাই সন্তানের জন্ম দেন। আজ সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে নবনীতার পরিবার। হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


কী অভিযোগ?


   মৃতার পরিবারের দাবি, ৭ জুলাই অর্থাৎ যে দিন সন্তান প্রসব হয় সে দিন প্রথম চিকিৎসকদের বার বার ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এদিন নবনীতার মৃত্যু হলে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, তাঁরা এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানাবেন। প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে এদিন এতটাই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল যে পুলিশের একটি টিমকে আসতে হয় ঘটনাস্থলে। সব শুনে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। হাসপাতালের তরফেও পুলিশের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে মারা গেলেন নবনীতা সেটা পুরোপুরি না বুঝে কিছু বলা যাবে না বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল। 


পরিবারের বক্তব্য 


গত ৭ জুলাই সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত রীতিমতো সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিলেন নবনীতা দাস। পরিবারের অভিযোগ, তাঁর রক্তচাপ অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে আলাদা অবজার্ভেশনে রাখা হয়নি। বিকেল তিনটের পর তাঁকে সিসিইউ-তে সরানো হয়। পরিজনদের অভিযোগ, এই ঘণ্টাছয়েক দেরির জন্যই আজকের মর্মান্তিক পরিণতি। গোটা পর্বে স্রেফ চিকিৎসার গাফিলতিই দেখছেন নবনীতার আত্মীয়রা। সব মিলিয়ে বিক্ষোভের আঁচ ছিল এম আর বাঙুরে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করে।   


আপাতত মেয়েকে হারিয়ে শোকপ্রকাশের ভাষাটুকুও খুঁজে পাচ্ছেন না নবনীতার বাবা-মা।  


আরও পড়ুন:সাফল্যের ৫০, কেক, মিষ্টিমুখে উদযাপন 'বেলাশুরু' পরিবারের