সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, হাওড়া: শিবপুরে (Shibpur) আরও টাকার (Money) হদিশ। ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডে তদন্তে আরও টাকার হদিশ পেল পুলিশ (Police)। আরও একটি আবাসনে তল্লাশি লালবাজারের (Lalbazar) গোয়েন্দাদের। শিবপুরের ৩৫ নম্বর অপ্রকাশ মুখার্জি লেনে শৈলেশের ভাইয়ের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করেছে। উদ্ধার কয়েক কোটি টাকা, দাবি পুলিশের। এখনও পলাতক শৈলেশ পাণ্ডে। টাকা উদ্ধারের পর ফ্ল্যাট সিল করে দেন পুলিশরা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আবাসিকরা।                 


আবাসনের চারতলায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেখানে তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। এই ফ্ল্যাটের নেমপ্লেটে রয়েছে শৈলেশ পাণ্ডে এবং তাঁর ভাই রোহিত পাণ্ডের নাম। টাকা গোনার যন্ত্র এনেই চলেছে টাকা গোনার কাজ। ৮-৮.৩০ নাগাদ পুলিশ এই আবাসনের ফ্ল্যাটটিতে ঢোকে। ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 


এই গোটা ঘটনায় শাস্তির দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। এক আবাসিক বলেন, "এখানে শৈলেশ পাণ্ডের পরিবার থাকত। রোহিত মাঝে মধ্যে আসতেন। ফ্ল্যাট অনেকদিনেরই। প্রায় ৭-৮ বছর। আমাদের ধারণা ছিল না এমন হতে পারে। কারো সঙ্গে মিশতেন না। ওঁর ভাই পুজোর আগে একবার এসেছিলেন। ফ্ল্যাট মূলত বন্ধই থাকত। ভাইই এসে তালা খুলত।" 


ওই আবাসনের আরেক বাসিন্দা  বলেন, "টাকা অনেক পেয়েছে। অনেকগুলো ব্যাগ ছিল। সেখান থেকে ব্যাগ উদ্ধার রয়েছে। মূলত ৫০০ টাকার নোট উদ্ধার হয়েছে। বক্স খাটের ভিতরে ব্যাগ ছিল। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে টাকা।" টাকা গোনার প্রক্রিয়া শেষ হতে ফ্ল্যাট থেকে বের করা হচ্ছে টাকা ভর্তি ব্যাগ। 


আরও পড়ুন, "আমাদের বলবে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে সরকারি হাসপাতালে যাও, আর ভাইপো চিকিৎসা করাবে আমেরিকায়", কটাক্ষ অধীরের


এর আগে ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে নগদ ২ কোটি টাকা উদ্ধার করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর গয়না। পুলিশ জানিয়েছে, রহস্যজনক লেনদেন নিয়ে একটি ব্যাঙ্কের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেই সন্ধান মেলে শিবপুরের ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডের। 


এর আগে কানাড়া ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ম্যানেজার লালবাজারের ব্যাঙ্ক ফ্রড শাখায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বলা হয়, নরেন্দ্রপুর শাখায় কলকাতার ১৬ নম্বর স্ট্র্যান্ড রোডের ঠিকানায় থাকা দুটি কোম্পানির নাম করে দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। সেই দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইনে মোটা অঙ্কের এবং রহস্যজনক লেনদেন হয়েছে। ওই দুটি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক মেলে। তার মধ্যে দুটি অ্যাকাউন্টে প্রায় ২০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে ব্লক করা হয়েছে।