প্রদ্যোৎ সরকার, তেহট্ট: নদিয়ার (Nadia News) তেহট্টে (Tehatta News) চোর সন্দেহে এক যুবককে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল (Mob Lynching)। মৃতের নাম গদাই বিশ্বাস। রবিবার সকালে স্থানীয় ক্লাবের সামনে যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তেহট্টে


পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের বাড়ি তেহট্টের মোবারকপুরে। এর আগেও পুলিশের খাতায় তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ ছিল। গতকাল রাতে গভীর রাতে বেতাই এলাকায় ঢোকায়, চোর সন্দেহে ওই যুবককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। থানায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।


আরও পড়ুন: Kharagpur News: আচমকা প্রসব যন্ত্রণা, চলন্ত ট্রেনেই সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা, চলতি মাসে তৃতীয় ঘটনা


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে নতুনপাড়ায় টাইগার ক্লাবের সামনে হাত পা অবস্থায় ওই যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে তেহট্ট থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের বাড়ি তেহট্টের মোবারকপুর এলাকায়। এর আগেও ওই যুবকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুষ্কৃতি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল গভীর রাতে কয়েকজন তাঁকে মারধর করছিল বলে অভিযোগ। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


দিন কয়েক আগে কলকাতাতেও একই ঘটনা ঘটে


এর আগে, টাকার জন্য খাস কলকাতায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ সামনে আসে। একাদশীর দিন ভোরবেলা চেতলা রোডে এই ঘটনা ঘটে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে মারধরের ছবি। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ চৌধু বলে জানা যায়। সেই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে চেতলা থানার পুলিশ।


মৃতের পরিবারের  দাবি করে, একাদশীর ভোরে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি চা খেতে বেরিয়েছিলেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে এসএসকেএমে নিয়ে যায় পুলিশ। টাকার জন্য খুন বলে অভিযোগ পরিবারের। মত্ত অবস্থায় বচসার জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।


এ দিকে, মুর্শিদাবাদের সালার থেকে উদ্ধার বীরভূমের সাঁইথিয়ার দুই অপহৃত জমি ব্যবসায়ী। অপহরণ ও মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


পরিবার সূত্রে খবর, গত কাল সকালে কলকাতা যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোন দুই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, দুপুর ২টো নাগাদ ফোন করে দু’জনকে অপহরণের কথা জানিয়ে ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। অপহরণকারীদের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ টাকা পাঠায় ব্যবসায়ীদের পরিবার। এরপর অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ।