রঞ্জিত সাউ ও জয়ন্ত পাল, কলকাতা: বিধাননগর ও দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ক্রমশই বাড়ছে মশাবাহিত রোগের দাপট। এলাকায় ঘুরে সচেতনতা প্রচার শুরু করলেন পুর-প্রশাসক। এলাকায় দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কুড়ি। যার ফলে জরুরি বৈঠকে বসলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভা প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সহ প্রসাশক মন্ডলী সদস্যরা। প্রত্যেক করুণাময়ী সংলগ্ন এলাকায় জমা জলে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার লার্ভা মেলায় আরও বাড়ল উদ্বেগ।
পুজোয় লাগামছাড়া ভিড়ের খেসারত। কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় পৌঁছে গেছে চার অঙ্কের ঘরে। এরই মধ্যে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার সাঁড়াশি আক্রমণ। উদ্বেগ বাড়িয়ে সল্টলেক-সহ গোটা বিধাননগর পুর-এলাকায় লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৫ জন।কিন্তু, সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭।
আরও পড়ুন: South 24 Parganas: বাঘের আক্রমণে সুন্দরবনে মৎস্যজীবীর মৃত্যু
এই পরিস্থিতিতেও করুণাময়ীতে চোখে পড়ল চরম অসচেনতার ছবি। রোজ কয়েকশো সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মী, বিধাননগরের করুণাময়ী বাস টার্মিনাস থেকে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বাস ধরেন। আর সেখানেই দেখা গেল জমা জলে মশার লার্ভা। বাস টার্মিনাস লাগোয়া, খাবারের দোকানগুলিতেও চোখে পড়ল একই ছবি।
মঙ্গলবার বিধাননগরের এই গুরুত্বপূর্ণ বাস টার্মিনাসে গিয়ে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর এক সদস্য। বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য প্রণয় রায় বলেন, এলাকায় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া বাড়ছে। আমরা অভিযান চালালাম। করুণাময়ীতে জমা জলে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার লার্ভা পাওয়া গেছে। এলাকা পরিষ্কার করতে বলেছি।
বিধাননগর লাগোয়া দক্ষিণ দমদম পুর এলাকাতেও বাড়ছে, মশাবাহিত রোগ। পুরসভা সূত্রে খবর, গত এক মাসে দক্ষিণ দমদমে ২০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রশাসক পাচু রায় বলেন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন আক্রান্ত, ভয়ের কোনও কারণ নেই। আমরা সচেতনতামূলক প্রচার করছি। নর্দমা পরিষ্কার করছি।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: কালীপুজোর বাজি ফাটানো বন্ধের জন্য মামলা হাইকোর্টে