জয়ন্ত রায়, কলকাতা: পথ দুর্ঘটনায় এক মোটর বাইক আরোহীর মৃত্যুর ঘটনায় ধুন্ধুমার বাধল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মহেশতলায় (Maheshatala)। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে ইএসআই হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে মৃতের বন্ধুদের বিরুদ্ধে। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। আটক করা হয়েছে ২ জনকে।
দোলের দুপুরে দুর্ঘটনায় মোটর বাইক আরোহীর মৃত্যু ঘিরে তুমুল উত্তেজনা। কাউন্সিলরের লোকজনের সঙ্গে হাতাহাতি বাধল মৃতের বন্ধুদের। যার জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়। মৃত সোমনাথ সাউ বজবজের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে বাটানগরে যাচ্ছিলেন সোমনাথ। সেইসময় বজবজ ট্রাঙ্ক রোডে ESI হাসপাতালের সামনে দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর দাবি, মোটর বাইকের গতি অত্যন্ত বেশি থাকায় স্পিড ব্রেকারে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়েন ওই ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর করেন মৃতের বন্ধুরা।
ঘটনার সময় উপস্থিত মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুকান্ত বেরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও, লাভ হয়নি। কাউন্সিলরের লোকজনের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায় মৃতের বন্ধুদের। অভিযোগ, গন্ডগোলে নিগৃহীত হন কাউন্সিলরও। মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুকান্ত বেরা বলেন, “হাসপাতালের কোনও গাফিলতি নেই, ওদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম।’’ অশান্তির খবর পেয়ে ডিএসপি ইন্ডাস্ট্রিয়াল নিরুপম ঘোষের নেতৃত্বে হাসপাতালে আসে পুলিশ। শুরু হয় লাঠিচার্জ। বজবজ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পম্পা ঘোষ বলেন, “গন্ডগোলে জড়িত থাকার অভিযোগ পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে।‘’
এদিকে রোগী পরিষেবা ঘিরে ফের বিতর্কে কলকাতার এনআরএস হাসপাতাল (NRS Hospital)। কিডনির সমস্যায় ভোগা সঙ্কটাপন্ন রোগীর ট্রলি ঠেলার লোক মিলল না সেখানে। বরং পরিবারকেই ট্রলি ঠেলে নিয়ে যেতে হল। সেই দৃশ্য ধরা পড়ল এবিপি আনন্দের ক্যামেরায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এনআর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: North 24 Pargana News : দোলের দিন দুষ্কৃতী তাণ্ডব, অভিযোগ করতে গিয়ে ক্লাব সদস্যদের মধ্যেই গন্ডগোল !