কলকাতা: বিধাননগর পুরভোটে (Bidhannagar Municipality) কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিশনের। জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, "মুখ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি এবং আই জির সঙ্গে আলোচনা করবে কমিশন। ১২ ঘণ্টার মধ্যে সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। বাহিনীর প্রয়োজন হলে অবিলম্বে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। বাহিনীর প্রয়োজন নেই বলে সেই জায়গায় গন্ডগোল হলে দায় কমিশনারের।'' জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। "সব পুরভোটের গণনা একদিনে চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করতে হবে আবেদন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে কমিশন,'' জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। 


কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিধাননগরে পুরভোট হোক, অন্যত্র পুরভোট হোক পর্যাপ্ত নিরাপত্তায়, এই দাবিতে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবে কি না তা ঠিক করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনকে স্বরাষ্ট্রসচিব, মুখ্যসচিব এবং ডিজি-র সঙ্গে ১২ ঘণ্টার মধ্যে আলোচন করতে হবে। সামগ্রিকভাবে বিধাননগরের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে কতটা গুরুতর খতিয়ে দেখে ঠিক করবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে কি না। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের যাতে হয় তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই, সেক্ষেত্রে ভোটের দিন কোন গন্ডগোল হলে তার দায় ব্যাক্তিগতভাব রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের উপর বর্তাবে। এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, গণনা একসঙ্গে চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করতে হবে আবেদন। 


এর আগে গতকাল, বুধবার সব মামলার একত্রে শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।  আদালত সূত্রে খবর, শুনানিতে কলকাতা পুরভোটে অশান্তির প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  আদালত সূত্রে খবর, কমিশনের আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, নিরাপত্তার যে কথা বলা হচ্ছে, তা খাতায় কলমে আছে, নাকি, বাস্তবায়িত হয়েছে? কলকাতা পুরভোটের সময়ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ভোটের পর বেশ কিছু অভিযোগ আদালতে এসেছে।  কমিশন বলেছিল, কোনও অশান্তি হবে না। তাহলে এটা কি কমিশনের ব্যর্থতা? এরপর যদি কোনও অশান্তি হয়, তার দায় কি নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার?


জবাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র বলেন, কমিশন নিরপেক্ষভাবে, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে প্রস্তুত। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দেখা দরকার। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যে অভিযোগ উঠেছে, কমিশন সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে, গ্রেফতার করেছে। সব অভিযোগ যে সত্যি, তেমন নয়। বিজেপি ছাড়াও বিধাননগরের নাগরিকদের একাংশের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে আবেদন করা হয়েছিল। দু’পক্ষের আইনজীবীরাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে সওয়াল করেন। 


আরও পড়ুন: Municipal Election 2022: হুগলি জেলায় পুরভোটে তৃণমূলে প্রার্থী বিক্ষোভ অব্যাহত