রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদে ফরাক্কা ব্যারাজের ওপর পণ্য বোঝাই চলন্ত লরিতে আগুন, তার জেরে ফরাক্কা ব্যারাজে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ। ব্যারাজের উপর দিয়ে ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। সকালে মুর্শিদাবাদ থেকে মালদা যাচ্ছিল পণ্য বোঝাই একটি লরি। ফরাক্কা ব্যারাজের ওপর ৪৮ নম্বর গেটের সামনে চলন্ত লরিতে আগুন ধরে যায়। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। (Farakka Barrage Fire)
বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। মুর্শিদাবাদ থেকে মালদা অভিমুখে এগোচ্ছিল পণ্য বোঝাই লরিটি। সেই সময় ফরাক্কা ব্যারাজের উপর আচমকাই লরিটিতে আগুন ধরে যায়। ব্যস্ত সময়ে লরিটির আগে-পিছে আরও অনেক গাড়ি ছিল। আচমকা লরিতে আগুন দেখে উত্তেজনা ছড়ায়। নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার চেষ্টা করে বাকি গাড়িগুলি। ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে ফরাক্কা ব্যারাজের উপর লরিটিকে দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা যায়। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ঢেকে যায় আকাশ। (Murshidabad News)
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। কিন্তু লরিটিকে রক্ষা করা যায়নি। পুড়ে কার্যত ছাই হয়ে গিয়েছে লরিটি। তবে কী পণ্য ছিল লরিতে, দাহ্য পদার্থ ছিল কি না, কী করে আগুন লাগল, তা এখন সঠিক ভাবে জানা যায়নি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'আগে হাসিটা ছিল দারুণ এখন হাসিটা শুনে লোকে বলে পাগল' অভিমানী রচনা ?
তবে এই ঘটনার জেরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে এখনও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। বহু গাড়ি আটকে রয়েছে রাস্তায়। সারি দিয়ে পর পর দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়িগুলি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন CISF-এর জওয়ানরা। মালদা এবং মুর্শিদাবাদ, দুই থানার পুলিশও রয়েছে ঘটনাস্থলে। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ব্যারাজের উপর দিয়ে ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে আপাতত। ফলে উত্তর থেকে দক্ষিণ কার্যতই বিচ্ছিন্ন এই মুহূর্তে।
পুড়ে যাওয়া বাসটিকে সরানোর চেষ্টা চলছে, তবে এখনও সাফল্য মেলেনি তাতে। কারণ ভারী ওজনের লরিটিকে সরাতে হলে ক্রেনের সাহায্য়ে ব্যারাজের কোনও একটি প্রান্তে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু রাস্তার দুই দিকেই শয়ে শয়ে গাড়ি, গূরপাল্লার বাস, চার চাকার গাড়ি, অটো আটকে রয়েছে। রাস্তার দুই দিকেই কয়েক কিলোমিটার লম্বা গাড়ির সারি চোখে পড়ছে। ফলে লরিটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যাবন চলাচল স্বাভাবিক করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।