রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ:  পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) আগে ইতিমধ্যেই ফের রাজ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে (Blast)। বনগাঁয় বোমা ফেটে ১১ বছরের বালকের মৃত্যু হয়েছে। আর এবার মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের আমবাগান থেকে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল।


 প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল সকাল ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার হাউসনগর কৃষিমান্ডি সংলগ্ন এলাকায়। এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সামশেরগঞ্জের হাউসনগর কৃষক বাজারের বিপরীতে একটি আমবাগানে হানা দেয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে খবর দেওয়া হয় বোম স্কোয়াড টিমকে।


কে বা কারা আমবাগানে বোমা গুলো রেখেছে তা তদন্ত করে দেখছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। দুই ব্যাগে প্রায় ১৫ টি বোমা থাকতে পারে বলেই অনুমান পুলিশের। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে।


প্রসঙ্গত, বনগাঁয় বোমা ফেটে ১১ বছরের বালকের মৃত্যু হয়েছে। বনগাঁ ১ নম্বর রেলগেটের কাছে শৌচাগারে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে অভিযোগ। শৌচাগারে বোমা রাখা ছিল বলে অনুমান করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে ওই মৃত বালকের নাম রাজু রায়চৌধুরী। মৃত বালক, বনগাঁর সুভাষ পল্লির বাসিন্দা। 


সম্প্রতি ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম। স্থানীয়রা জানান, পুকুরের পাশেই একটি বাড়িতে ছিল ২ টি ঘর। সেখানেই ছিল বেআইনি বাজি কারখানা। বাড়ির একটি ঘরেই বিস্ফোরণ হয়। দেহ ছিটকে গিয়ে পড়ে পুকুরে। ২ টি পুকুরেই দেহের খোঁজে চলে তল্লাশি। বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছিল গোটা বাড়ি। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল গোটা এলাকা। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, শুধু কাঠামোটুকু ছাড়া সেই বাড়িতে অবশিষ্ট নেই আর কিছুই। খাদিকুল গ্রামে যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, সেখান থেকে এগরা থানার দূরত্ব কমবেশি ২২কিলোমিটার। এগরা দমকল কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। ঘটনাস্থল থেকে গোপীনাথপুরে মূল রাস্তার দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


এরপর বজবজে বেআইনি বাজি কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বেআইনি বাজি কারখানার গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল। সেখানেই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছিল এলাকা, দাবি স্থানীয়দের।  বাড়িটির উপরে দোতলায় কাজ হচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে একাধিক জনের মৃত্যুর খবর মিলছিল। তাদের মধ্যে ছিল একজন নাবালিকা। দমকল আসার আগেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছিলেন স্থানীয়রা। এই এলাকার সামনে রাস্তা সরু। দমকলের গাড়ি প্রথমটায় ঢুকতে সমস্যা হয়েছিল। এই এলাকায় আশেপাশে একাধিক পুকুর রয়েছে। সেখান থেকে জল নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। বাড়িটির সিঁড়ি ও তলার ঘর একেবারে পুড়ে গিয়েছিল। বাড়িটিতে বাজি তৈরির কাজ চলত বলে স্থানীয়দের দাবি।