মুর্শিদাবাদ: ভরদুপুরে বহরমপুরে (Berhampore) ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Blast)। ব্যবসায়ীর তালাবন্ধ বাড়িতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে গোটা এলাকা। ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা। 'মজুত বোমায় বিস্ফোরণ', বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের (Police)।


আগেও ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল মুর্শিদাবাদে


প্রসঙ্গত, আগেও ভয়াবহ বিস্ফোরণের মুখোমুখি হয়েছিল মুর্শিদাবাদ। একুশের বিধানসভা ভোটের মুখে তখন তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। এরই মাঝে ফেব্রুয়ারি ২৫ তারিখ, কলকাতা আসার পথ ধরেছিলেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। জাকির হোসেন। নিমতিতা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দিয়ে হেঁটে আসছিলেন তিনি। হঠাৎ আলোর ঝলকানি। তারপর সব অন্ধকার। একেবারে মন্ত্রীর সামনে এসে পড়ে বোমা। গুরুতর জখম জাকিরকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। ওই বিস্ফোরণে জখম হন জাকির হোসেনের সঙ্গী-সহ অনেকে।


মার্চে বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তভার নেয় এনআইএ


এর কদিন পরেই, মার্চে বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তভার নেয় এনআইএ। ঘটনার তদন্তে নেমেই অবশ্য ১জনকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। ৩২৬, ১২০বি ও ৩৬০ ধারায় মামলাও রুজু করা হয়। এছাড়াও বিস্ফোরণ আইনে মামলা রুজু করা হয়। তবে প্রাথমিক ভাবে এনআইএ আধিকারিকরা এর পিছনে জঙ্গি নাশকতার ছক রয়েছে বলে মনে করেননি। সূত্রের খবর, প্রথম যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি ও বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম মেলে। তল্লাশি চলেছিল আরও কয়েকটি বাড়িতে।


গ্রেফতার করা হয় ইশা খানকে


ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ইশা খানকে। বিস্ফোরক সরবরাহ করার অভিযোগে নিমতিতার বাসিন্দা ইশা খান ওরফে ইশা শেখকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। তাঁকেই মূল অভিযুক্ত করা হল তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে। প্রসঙ্গত, স্টেশনে বিস্ফোরণের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে কনভয় দুর্ঘটনার কবলেও পড়েছিলেন জাকির হোসেন। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে প্রাক্তন মন্ত্রীর কনভয়ে মিনিডোরের ধাক্কা লাগে সেই বার। মিনিডোরের ধাক্কায় আহত জন ৩ পুলিশকর্মী। কীভাবে কনভয়ে ঢুকল অন্য গাড়ি? মার্চে ঘটনার এই তদন্তভার নিয়েছিল এনআইএ। গতবছর ২৫ জনের বয়ান নেওয়া হয়েছিল, যা মূল অভিযুক্ত ইশা খানের বিরুদ্ধে গিয়েছিল বলে জানা যায়। নিমতিতা বিস্ফোরণের ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে।


আরও পড়ুন, প্রান্তিক এলাকায় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য, পোলবায় শুরু 'দুয়ারে চিকিৎসক' 


জাকিরের বাড়িতে হানা


চলতি বছরের শুরুতেই জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের তথা প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল 'কুবেরের ধন'। জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, গুদাম, কারখানা থেকে উদ্ধার ১১ হয়েছে কোটি টাকা। জাকিরের বাড়ি, অফিস, গুদাম, কারাখানায় তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর (Income Tax Department)। কোথা থেকে এল এত নগদ টাকা, খতিয়ে দেখা শুরু করে আয়কর দফতর।