লালগোলা, মুর্শিদাবাদ:  লালগোলায়  (Lalgola Murder Case) তরুণের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। প্রাথমিকে চাকরির টোপ দিয়ে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। টাকা ফেরত চাইলে ক্রমাগত হুমকির মুখে ওই তরুণ আত্মহত্যা করেছেন, বলে দাবি পরিবারের। সুইসাইড নোটে উঠে এসেছে তরুণের মানসিক যন্ত্রণার কথা। পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। জবাব দিয়েছে শাসকদলও (TMC)। 


 প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষিত বেকাররা পুজোর মধ্যে রাস্তায় অবস্থান করছে। দুর্নীতি কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এবার ব্রাত্য বসুর সাংবাদিক সম্মেলনের পর প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । এদিন তিনি বলেন,  'যেটা ঠিক, সেটা ঠিক। যেটা ভূল, সেটা ভূল।যেটা অন্যায়, সেটা ১০০ বার অন্যায়। কিন্তু যারা বলছেন, কারা কথা বলছেন ! ' এরপরেই মোদি সরকারকে তোপ দেগে বলেন, ২০১৪ সালে বলা হয়েছিল, বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি হবে। এখন ২০২২। ১৬ কোটি বেকারের চাকরি হল না, আরও ১৬ কোটি বেকার তৈরি হয়ে গেল গোটা দেশে। শিক্ষাক্ষেত্রে এখানে বহ ভালো কাজ হয়েছে। আবার নিয়োগ নিয়ে যেটা হয়েছে, ঠিক কাজ হয়নি। যারা , যে ব্যাক্তি করেছেন, অন্যায় করেছেন। তাঁদের তদন্ত...কেউ কোথাও প্রোটেকশন দিচ্ছে না। পাশাপাশি নিয়োগের তো জটটা খুলতে হবে। এসএসসি আদালতে জানিয়ে দিয়েছে, দুটি ফর্মুলা এইভাবে করা যেতে পারে, অথবা এইভাবে। মহামান্য আদালত যে রায় দেবেন, এসএসসি এখুনি নিয়োগ শুরু করতে প্রস্তুত।' 


আরও পড়ুন, এসএসসি মামলায় চার্জশিটে মেলেনি সরকারি অনুমতি, দাবি সিবিআই-র


সম্প্রতি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'এই চাকরি বা শিক্ষক , বিষয়টা যেটা চলছে, সেটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।এবং একই সঙ্গে নিন্দনীয়।' এর পর অনেকটাই মমতার সুর টেনে তিনি বলেন,' এখানে যারা যারা জড়িত, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।এবং তদন্ত তদন্তের মত চলছে। এই বিষয়ে দল কোনও মন্তব্য করবে না।' উল্লেখ্য, চারিদিকে যখন ইডি ঝড়, সবাই তখন মমতার মুখ খোলার অপেক্ষায় ছিল সারা বাংলা।  কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,  'আমি আজ শোকাহত, সবাই সাধু বলছি না, ভুল করাটাও একটা অধিকার, কেউ যদি দোষী হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক।' অপরদিকে, এদিন বামনেতা মহম্মত সেলিম বলেছেন, ' এই ধরনের কমিটিটা তৈরি হয়েছিল, সেই তো শান্তিপ্রসাদ, মমতা করে দিয়েছিলেন না কমিটি ! সবাই যদি যুক্ত না হতেন, একা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি-র সম্ভব ছিল এত টাকা জোগাড় করার।'