কলকাতা: শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা-সব ঋতুতেই গরম কফি হট ফেভারিট অনেকের। প্রিয় পানীয়ে চুমুক না দিলে দিনটাই যেন শুরু হয় না। আজ সেই কফিপ্রেমীদের জন্য বিশেষ দিন। আজ বিশ্ব কফি দিবস। মূলত স্বাদ ও গন্ধেই আমাদের মন জয় করে কফি। তবে স্বাস্থ্যের দিক থেকেও এর বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। অন্তত তেমনই ধরা পড়েছে গবেষণায়।


কী বলছে গবেষণা?
২১ টি গবেষণাপত্রের রিভিউ করে দেখা গিয়েছে, প্রত্যেক দিন এক কাপ কফি মৃত্যুর আশঙ্কা ৩ শতাংশ কমাতে পারে। Journal of Human Nutrition and Dietetics-এ প্রকাশিত ওই রিভিউয়ে আরও বলা হচ্ছে, দিনে তিন কাপ কফি মৃত্যুর আশঙ্কা অন্তত ১৩ শতাংশ কমিয়ে দেয়। এতেই শেষ নয়। ক্যাফিনসমৃদ্ধ ও ক্যাফিন ছাড়া, দুধরনের কফি সেবনেই লিভার ক্যানসারের সম্ভাবনা কিছুটা কমে, বলছে গবেষকদের একাংশ। ঋতুস্রাব বন্ধের পর স্তনের ক্যানসার আটকাতেও কাজে দিতে পারে কফি-সেবন। দিনের চার কাপ কফি এ ধরনের ক্যানসারে আশঙ্কার অন্তত ১০ শতাংশ কমাতে পারে, বলছে ২০১৮ সালে Nutrient জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা। মহিলাদের ক্ষেত্রে কোলন ক্যানসার নিয়ন্ত্রণেও সদর্থক ভূমিকা রয়েছে এই জনপ্রিয় পানীয়ের। International Journal of Cancer-এ ২০১৮ সালেই এই মর্মে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, যে মহিলারা দিনে তিন বা তার বেশি কাপ কফি সেবন করেছেন তাঁদের ক্ষেত্রে কোলন ক্যানসারের সম্ভাবনা অন্তত ২০ শতাংশ কম।


অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে...
কফির আরও কিছু গুণাগুণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের একাংশের।  যেমন, টাইপ টু ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা কমাতেও কার্যকরী হতে পারে কফি। কিডনির সমস্যা আটকাতেও কাজে দিতে পারে, মনে করেন গবেষকদের অনেকে। কিন্তু এর সবটাই কি ভাল? তা নয়। বিশেষজ্ঞদের অন্য একটি অংশ আবার বলছে, অত্যধিক কফি-সেবনে ঘুমের অভাব দেখা দিতে পারে। শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হতে পারে। অস্বস্তি, মাথাব্যথা ও গা-বমি ভাবও কিছু ক্ষেত্রে বাড়তে পারে।সবচেয়ে বড় কথা, কারও কারও ক্ষেত্রে ডিপেনডেন্সি তৈরি হয়ে যায় যার অর্থ আগে যে ধরনের স্বস্তি পেতেন, সেই মাত্রা ধরে রাখতে হলে ক্রমান্বয়ে কফি-সেবনের মাত্রা বাড়াতে হবে। তাই কফি ভালবাসুন, তবে বুঝে শুনে এবং অবশ্যই মাত্রা মেনে। কফি দিবসে এমনই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।


আরও পড়ুন:এখন চড়া রোদ কিন্তু যে কোনও সময়ই ঝেঁপে আসতে পারে প্রবল বৃষ্টি