অনির্বাণ বাগচী, মুর্শিদাবাদ : মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জে ঘরের মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার হল নিখোঁজ ব্যক্তির পচাগলা দেহ। ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। পলাতক বড় মেয়ে ও জামাই। কী কারণে খুন, খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত (Investigation)। 


নাতি অসুস্থ বলে দাবি করে দেওরদের কাছ থেকে স্বামীকে নিয়ে এসেছিলেন স্ত্রী। তারপর আর খোঁজ মেলেনি সেই ব্যক্তির। এক মাস পর স্ত্রীর ঘরের মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার হল দেহ। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার মৃতের স্ত্রী ও ছোট মেয়ে। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের পঞ্চবটি গ্রামে। মৃতের নাম, দশরথ দাস (৪৮)।


স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চবটি গ্রামে স্ত্রী ও ২ মেয়ের সঙ্গে থাকতেন দশরথ। সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় সুজানিপাড়ায় ভাইদের কাছে চলে যান দশরথ। পঞ্চবটি গ্রামে মেয়েদের নিয়ে থাকেন স্ত্রী। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও মেয়ে-জামাইও থাকেন এখানে। মৃতের ভাইদের দাবি, গত ৯ এপ্রিল নাতির অসুস্থতার কথা বলে, স্বামীকে গ্রামে ডেকে আনেন স্ত্রী। তারপরই নিখোঁজ হয়ে যান দশরথ। মৃতের ভাইদের নিখোঁজ ডায়েরির ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে রঘুনাথগঞ্জ থানা। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে গা ঢাকা দেন মৃতের স্ত্রী, ২ মেয়ে ও জামাই। পাড়া-প্রতিবেশীদের দাবি, অভিযুক্তদের বাড়ির বাইরে ও ভেতরের মাটি দেখে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শুক্রবার পুলিশ বাড়ির বাইরের মাটি খুঁড়লেও কিছু পায়নি। 


কিন্তু কেন খুন ? সম্পর্কের অবনতির জের ? সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ? না কি খুনের নেপথ্যে অন্য কারণ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জেরা করা হচ্ছে ধৃতদের।
ঘটনার পর থেকে পলাতক মৃতের  বড় মেয়ে ও জামাই। 


আরও পড়ুন- দিদির বাড়িতে ভাইজান, উত্তরীয় পরিয়ে সলমনকে অভ্যর্থনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের


এরই মধ্যে, পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার ছোট মেয়েকে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন মৃতের স্ত্রী। তাঁদের নিয়ে তল্লাশি চালানো হয় ঘরে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতের স্ত্রী দেখিয়ে দেওয়া জাযগায় শুরু হয় খোঁড়া। উদ্ধার হয় নিখোঁজ ব্যক্তির দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মাটির ১০ ফুট গভীরে পুঁতে রাখা হয়েছিল দেহ। তদন্তকারীদের অনুমান, মা এবং মেয়েরা মিলেই খুন করেছেন দশরথকে। 


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?