বহরমপুর: লাগাতার বৃষ্টিতে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল অনেকটাই। কিন্তু বৃষ্টি ধরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই চড়তে শুরু করেছে পারদ। মঙ্গলবার ছিটেফোঁটা বৃষ্টি যদিও বা হয়, মুর্শিদাবাদের তাপমাত্রা বেশ খানিকটা উঠবে। ৪০ ছুঁইছুঁই হবে পারদ। (Weather update)
পর পর কয়েক দিনের বৃষ্টিতে একধাক্কায় ৪০ থেকে ৩০ ডিগ্রির কোটায় নেমে এসেছিল পারদ। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে হাওয়া বদল ঘটছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। (Murshidabad Weather)। তবে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার গতিতে হাওয়া বইতে পারে জেলায়।
আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। এদিন আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে মুর্শিদাবাদ জেলায়। বিক্ষিপ্ত ও ছিটোফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে আজ।
মঙ্গলবার থেকে হাওয়া বদল মুর্শিদাবাদে
আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা নিয়ে সতর্ক করছেন আবহবিদরা। (District Weather Updates) এবারে গরম দীর্ঘায়িত হতে পারেও বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা, পাশাপাশি সময়ের আগে বর্ষার আগমন ঘটতে এবং তা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস মিলেছে।
মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশে পাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও কম থাকবে। জেলায় সকালে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার থাকবে ৫৯ শতাংশের মতো। রাতের দিকে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার ৭২ শতাংশের মতোই থাকবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট-
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা- ৭২ শতাংশ
সামগ্রিক আবহাওয়া-আজ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে
সূর্যোদয়- সকাল ৪টে বেজে ৫৪ মিনিট
সূর্যাস্ত- সন্ধে ৬টা বেজে ১২ মিনিট
রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।
তবে ইদানীং কালে তাপমাত্রার যে পরিবর্তন চোখে পড়ছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি বলে মত আবহবিদদের। এবছর শীতের মেয়াদ যেমন দীর্ঘায়িত হয়, তেমনই মাঝ চৈত্রেই তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করে হু হু করে। এ বছর বর্ষার আগমনও সময়ের আগে ঘটতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহবিদরা। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই সেই নিয়ে আশঙ্কাবার্তা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।