বহরমপুর: দিল্লিতে শৈতপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। কিন্তু ভরা পৌষে বাংলা থেকে হঠাৎই গায়েব শীত। বছর শেষে ঊর্ধ্বমুখী পারদ। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জেরে উধাও হয়েছে উত্তুরে হাওয়া। তার জায়গায় পুবালি হাওয়ার দাপট বাড়ায় হু-হু করে ঢুকছে জলীয় বাষ্প। ফলে তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করেছে একটু একটু করে। তার উপর বাংলাদেশে ঘূর্ণাবর্তের জেরে বাংলায় আর শীতের ফেরার সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ডিসেম্বর শেষ হয়ে নতুন বছর আসতে চলেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হাড় কাঁপানো ঠান্ডা টের পায়নি বাংলা। মাঝে একধাক্কায় পারদপতন ঘটলেও, গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রার ওঠাপড়া বজায় রয়েছে। রবিবার মুর্শিদাবাদ (Weather update) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রির আশেপাশে থাকলেও, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৪ ডিগ্রির মতো।
রবিবার আকাশ পরিষ্কার থাকবে মুর্শিদাবাদ জেলায়। এদিন আবহাওয়া নাঝামাঝি থাকবে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিন জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রির আশেপাশেই থাকবে দিনে বেলায়। ভোরের দিকে ধোঁয়াশার প্রকোপ থাকতে পারে। বিকেলের পর থেকে নামতে পারে তাপমাত্রা। তবে তাপমাত্রায় খুব বেশি হেরফের থাকবে না আজ।
রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। শীত তেমন অনুভূত হবে না দিনভর। এমনকি রাতের দিকেও পারদ পতনের তেমন সম্ভাবনা নেই। (District Weather Updates)।
রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশে পাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। জেলায় সকালে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার থাকবে ৬৮ শতাংশের মতো। রাতের দিকে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার ৮৮ শতাংশের মতোই থাকবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট-
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা-৮৮ শতাংশ
সামগ্রিক আবহাওয়া-তাপমাত্রায় তেমন হেরফের নেই
সূর্যোদয়- সকাল ৬টা বেজে ১৯ মিনিট
সূর্যাস্ত- সন্ধে ৪টে বেজে ৫৯ মিনিট
রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।
এমনিতে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বৃষ্টির দেখা মেলে না সেভাবে, যদি না প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয় সাগরে। কিন্তু এবারে সেপ্টেম্বর অক্টোবরের শুরুতেও বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। বর্ষার মেয়াদ দীর্ঘায়িত হওয়াতেই এমনটা ঘটেছে বলে মত আবহবিদদের। ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতের আগমন ঘটে গিয়েছে। বিশেষ করে রাতের দিকে তাপমাত্রা অনেকটাই নীচে নেমে যাচ্ছে। এবারে হাড় কাঁপানো শীত.ও তাড়াতাড়ি আসতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে